পুলিশের বড় কর্তা বলে কী সব মাফ!
পুলিশের বড় কর্মকর্তা না হয়ে যদি আমাদের ড্রাইভার অ্যাকসিডেন্ট করত, তাহলে কী এভাবে ছেড়ে দেয়া হত। উনি পেছন থেকে উড়ে এসে যেভাবে গাড়ির পেছনে ধাক্কা দিলেন তাতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।
বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তেজগাঁও বেগুনবাড়ি এলাকার ওভারব্রিজের সামনে জটলায় দাঁড়িয়ে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করছিলেন শিমু নামে এক নারী। এ সময় সঙ্গে তার ভাবিও ছিলেন।
এগিয়ে গেলেই বলেন, ‘দেখুন গাড়ির পেছনের দিকটা কীভাবে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে। এত বড় অ্যাকসিডেন্ট ঘটিয়েও উনি গাড়িতেই বসে রইলেন, গাড়ি থেকে নেমে সরি বলার সৌজন্যতাবোধটুকুও দেখালেন না। পুলিশের বড় কর্মকর্তা বলে কী সব মাফ!’
শিমু জানান, তাদের অসুস্থ মা বারডেম হাসপাতালে ভর্তি। সেখান থেকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার জন্য গুলশানে একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে কাগজপত্র দেখাতে যাচ্ছিলেন তিনি।
বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলেন শিমু ও তার ভাবি। আতঙ্কিত শিমুর ভাষ্যমতে, রাস্তায় স্পিড ব্রেকারের সামনে এসে ড্রাইভার গাড়ি ব্রেক করে সামনে এগোতে চায়। এ সময় বিকট শব্দে হঠাৎ করে পেছন থেকে একটি প্রাইভেট কার এসে আমাদের গাড়ির উপর ছিঁটকে পড়ে। প্রচণ্ড আঘাতে সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অ্যাকসিডেন্ট যিনি ঘটিয়েছেন তিনি ট্যুরিস্ট পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। তার খোঁজ করতেই দেখা গেল রাস্তার বিপরীত দিকে দুজন পুলিশ সার্জেন্ট তার সঙ্গে কথা বলছেন। নেমপ্লেটে লেখা মঞ্জুর। পরিচয় দিয়ে কথা বলার শুরুতেই বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে। প্রতিবেদন না করলেই ভালো হয় বলে অনুরোধ জানান তারা।
ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি কিছুটা বিরক্তি নিয়ে জানান, আজ (বৃহস্পতিবার) পুলিশ সদর দফতরে একটি অনুষ্ঠানে দুপুরে যোগ দিয়ে ফিরছিলেন। স্পিড ব্রেকারের সামনে এসে ওই গাড়ির ড্রাইভার ব্রেক করে বসে থাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে তার কোনো ধরনের দোষ নেই।
একপর্যায়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, ইউনিফর্ম গায়ে না থাকলে উল্টো মামলা করতাম। নতুন গাড়িটি কার এ প্রশ্নের জবাবে তিনি প্রথমে নিজের গাড়ি বললেও পরে অফিসের গাড়ি সংকটে বড় ভাইয়ের গাড়ি নিয়ে বের হন। পরে তিনি একটি মাইক্রোবাসে উঠে চলে যান। যে গাড়িটি দিয়ে তিনি অ্যাকসিডেন্ট করেন সে গাড়িটি অন্য একজন চালিয়ে নিয়ে যান।
এমইউ/এমআরএম/জেআইএম