লঞ্চঘাটে যাত্রী হয়রানি নিয়ে ক্ষুব্ধ এমপিরা
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) ঘাটগুলোতে যাত্রী হয়রানির নানা ধরনের অভিযোগ পেয়েছে সংসদীয় কমিটি। এসব অভিযোগ পেয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এমপিরা। একই সঙ্গে হয়রানি বন্ধ করার জন্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছেন। এছাড়া জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসমূহের সঙ্গে সমন্বয় করে সপ্তাহের সাতদিন বন্দরসমূহ চালু রাখার সুপারিশ করেন তারা।
বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ৪২তম বৈঠকে এসব সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের (বীরউত্তম) সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. আব্দুল হাই, এম আব্দুল লতিফ এবং রণজিৎ কুমার রায় অংশ নেন।
বৈঠক শেষে রফিকুল ইসলাম টেলিফোনে জাগো নিউজকে বলেন, লঞ্চঘাটগুলোতে যাত্রীরা নানা ধরনের হয়রানি শিকার হন। এর মধ্যে রয়েছে- দালালদের দৌরাত্ম্য। হকার ও লঞ্চ কর্মীরাও যাত্রীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন বলে সংসদীয় কমিটির কাছে অভিযোগ এসেছে। এজন্য সব এমপি এসব হয়রানি বন্ধের সুপারিশ করেছেন।
কমিটির এক সদস্য জানান, নৌমন্ত্রীর এলাকায় লঞ্চে যেতে হয়। তবুও সদরঘাটসহ আশপাশের ঘাটগুলোর অবস্থা ভালো নয়। আমরা চাই আরও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। কিন্তু মন্ত্রী বৈঠকে না থাকায় এসব বলা সম্ভব হয়নি। তবে হয়রানি বন্ধের পক্ষে কথা বলেছি।
এদিকে সংসদ সচিবালয় থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কমিটি জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসমূহের সঙ্গে সমন্বয় করে সপ্তাহের সাতদিন বন্দরসমূহ চালু রাখার জন্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের সুপারিশ করে। বৈঠকে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের সার্বিক কার্যক্রম এবং বিআইডব্লিউটিসি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে এবং বৈঠকে স্থলপথে আমদানি ও রফতানি সহজতর ও উন্নত করতে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণে সুপারিশ করা হয়।
নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ, মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এইচএস/আরএস/জেআইএম