ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়াতে আন্দোলনের হুশিয়ারি

প্রকাশিত: ০৯:১৪ এএম, ২৫ মে ২০১৭

৩৮তম বিসিএস পরীক্ষার আগে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করা না হলে সারাদেশে দুর্বার আন্দোলনের হুশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদ। বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র পরিষদের’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুশিয়ারি দেয়া হয়।

ছাত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মো. এম এ আলী লিখিত বক্তব্যে বলেন, দেশের সকল কিছু পরিবর্তন হচ্ছে অথচ পূর্বের নিয়মে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩০ রয়ে গেছে। নন পিএসসির ক্ষেত্রে চাকরিতে প্রবেশে ১৮ বছর করা হয়েছে। কিন্তু ১৮ বছরে এসএসসি পাস করা সম্ভব হয়। ছাত্রসমাজ এই অকার্যকর আইন বাতিলের দাবি জানায়।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ২ বছরের ডিগ্রি চার বছর করা হয়েছে। সেশনজটসহ অনার্স শেষ করতে পাঁচ বা ছয় বছর সময় লাগে। ২৩ বছরের আগে শেষ করা সম্ভব হয় না। আর মাস্টার্স শেষ করতে এক বা দুই বছর সময় পার হয়। তবে কেন চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করা হবে না?

কেন এ অকার্যকর আইন বহাল থাকবে -এমন প্রশ্ন তুলে বলা হয়, দেশের মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। সে অনুযায়ী চাকরির যোগদানের বয়স নির্ধারণ করতে হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কোটা ব্যবস্থা নেই। নির্ধারিত কোটা সুবিধা বাতিল করতে হবে।

সংবাদ সম্মেলনে পরিষদের সভাপতি মো. ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, পুরানো সকল আইনের পরিবর্তন আনা হলেও চাকরিতে যোগদানের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হচ্ছে না। অবসরের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হয়েছে, কিন্তু চাকরিতে যোগদানে কেন নয়?

তিনি আরও বলেন, দেশে যুগোপযোগী আইন না থাকায় আমরা পিছিয়ে পড়ছি। দেশের শিক্ষিত তরুণদের ৩০ বছর পরে বার্ধক্যে পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। সময়সীমা বৃদ্ধি করা হলে দেশে বেকারত্ব কমে যাবে।

ইমতিয়াজ হোসেন বলেন, আমরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে দীর্ঘদিন আন্দোলন করে আসছি। আগামী বিসিএসের (৩৮তম) আগে আমাদের দাবি মেনে নেয়া না হলে আমরণ অনশন ও শাহবাগ ঘোরাও কর্মসূচি পালন করা হবে। এ আন্দোলন একযোগে সারাদেশে পালিত হবে।

এমএইচএম/আরএস/আরআইপি