ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ন্যাম ফ্ল্যাটে মশা, ছারপোকায় অতিষ্ঠ এমপিদের পরিবার

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৫৮ এএম, ০৯ মে ২০১৫

সংসদ সদস্যদের জন্য বরাদ্দকৃত ন্যাম ফ্ল্যাটে মশা, ছারপোকা ও আরশোলার (তেলাপোকা) উপদ্রবে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন এমপিদের পরিবারের সদস্যরা। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে এমপিদের পরিবারের সদস্যরা বরাদ্দকৃত এ ফø্যাট ছাড়াতে উঠেপড়ে লেগেছেন।

জানা গেছে, ন্যাম ফ্লাটে মশা, ছারপোকা ও তেলাপোকার উপদ্রবে বহুদিনের। এ নিয়ে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে বারবার অভিযোগ করেও লাভ হয়নি। বরং প্রতিনিয়ত ভোগান্তি বেড়েছে। ফলে সেখানে বসবাস দুঃসহ হয়ে উঠেছে।

কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো. রুহুল আমিন। তিনি মানিক মিয়া এভিনিউয়ের ২ নম্বর সংসদ সদস্য ভবনের (ন্যাম ফ্ল্যাটে) ৭০২ নম্বর ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। এমপিদের আবাসিক কোয়ার্টারে মশা, ছারপোকা ও তেলাপোকার অত্যাচার সম্পর্কে জানতে চাইলে টেলিফোনে তিনি ভবনগুলো দেখভালের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের প্রতি চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন।

বর্তমানে তিনি নির্বাচনী এলাকায় আছেন, ফিরে এসেই বিষয়টি নিয়ে প্রয়োজনে স্পিকারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান।

এই সংসদ সদস্যের মতো ন্যাম ফ্ল্যাটে বসবাসকারী বেশির ভাগ সদস্যের একই অভিযোগ। মশাসহ পোকামাকড়ের অত্যাচারে তারা অতিষ্ঠ। আর ন্যাম ভবন থেকে নাখালপাড়া এমপি হোস্টেলের অবস্থা আরো খারাপ। প্রতিনিয়ত পোকামাকড়ের সঙ্গে যুদ্ধ করেই তাদের টিকে থাকতে হচ্ছে। বিষয়টি তারা সংসদ সচিবালয়কে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সর্বশেষ করণীয় নির্ধারণে কয়েকজন সদস্য বসে বৈঠকও করেছেন। কিন্তু কোনো সমাধানে পৌঁছাতে পারেননি।

সংসদ সচিবালয়ের (হোস্টেল শাখা) সহকারী সচিব আব্দুর রহমান বলেন, ন্যাম ভবনে বসবাসকারী এমপিদের মশা-মাছি ও পোকামাকড় নিয়ে অনেক অভিযোগ রয়েছে। আমরা অভিযোগগুলো সিটি কর্পোরেশনকে অবহিত করব। তাদের অবহেলার কারণে এমনটা হচ্ছে। এটা দেখভালের দায়িত্ব তাদের।

মশা, ছারপোকা ও তেলাপোকার অত্যাচার নিয়ে অভিযোগকারীদের একজন সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য মেরিনা রহমান, যিনি মানিক মিয়া এভিনিউয়ের ৩ নম্বর ভবনের ৬০৪ নম্বর ফ্ল্যাটে বসবাস করেন। তিনি জানান, ন্যাম ফ্ল্যাটের বাসাগুলোর সোফা-ডাইনিং টেবিলসহ বেশির ভাগ আসবাব নোংরা-নষ্ট। কিন্তু সেগুলো বদলানোর কথা বলা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, বিষয়টি নিয়ে এর আগে এমপিদের আবাসন দেখভালের দায়িত্বে থাকা সংসদ কমিটির বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এএইচ/এমএস