ধর্ষকদের দ্রুত বিচারের দাবি
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ শিশু ধর্ষণকারীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানিয়েছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি (৭১টি নারী, মানবাধিকার ও উন্নয়ন সংগঠনের প্ল্যাটফর্ম)।
রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে প্রতিবাদ সমাবেশে এ দাবি জানানো হয়।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ২৮ মার্চ রাজধানীর বনানীর দ্য রেইন ট্রি হোটেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণের শিকার হয়। এই ঘটনায় সমাজের প্রভাবশালী মহলের সম্পৃক্ততা থাকায় প্রথমে ঘটনাটি ধামা চাপা দেয়ার চেষ্টা থাকলেও পরবর্তীতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের চাপের মুখে তা সম্ভব হয়নি। ধর্ষকদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি।
বক্তারা আরও বলেন, ধর্ষণের ঘটনাগুলোর কোনো বিচার হচ্ছে না। ধর্ষণের ঘটনায় প্রভাবশালী মহলের সম্পৃক্ততা থাকলে অপরাধীকে বিচারের আওতায় না এনে ভিকটিমকে হুমকি দেয়া হয়। যে কারণে এই ঘটনাগুলো বার বার ঘটে যাচ্ছে।
ধর্ষণের শিকার নারী বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগ করতে চায় না কারণ তারা পুনরায় নির্যাতনের শিকার হয় উল্লেখ করে তারা বলেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ১৪টি দৈনিক পত্রিকার ক্লিপিংস-এ দেখা গেছে যে, ২০১৭ জানুয়ারি থেকে এপ্রিল এই চার মাসে ধর্ষণের সংখ্যা মোট ২৫৮টি, ৪৩ জন শিশু শুধু এপ্রিলে ধর্ষণের শিকার হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা স্বচ্ছ থাকতে হবে, তাদেরকে জবাবদিহিতার মধ্যে আনতে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ডা. ফওজিয়া মোসলেম। বাংলাদেশ নারী প্রগতি সংঘ শাহানাজ সুমীর পরিচালনায় সমাবেশে প্রস্তাব পাঠ করেন মাহবুব আক্তার।
এতে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সাধারণ সম্পাদিকা মালেকা বানু, অ্যাডাবের সমন্বয়কারী কাওসার আলম কনক,দলিত নারী ফোরামের মনি রানী দাশ প্রমুখ।
এএস/এমআরএম/জেএইচ/আরআইপি