এটা কি তোমার বাবার রাস্তা?
ফুটপাত দখল করে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান জি-৪ এর ‘নো পার্কিং’ লেখা ফলক নিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আনিসুল হক বলেছেন, “আমার জনগণের সম্পদের ওপর ‘নো পার্কিং’ লিখে রেখেছেন। এটা কি তোমার বাবার রাস্তা?”
শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মিলনায়তনে এক কর্মশালায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের উদ্যোগে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে সৌদি দূতাবাসের সড়ক দখল বিষয়েও কথা বলেন মেয়র আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘‘সড়কের ফুটপাতে লিখে দিয়েছে ‘নো পার্কিং’, ‘নো পার্কিং’। তোমার দেশের রাস্তায় কি এভাবে থাকতে দিবা? তোমার দেশের রাস্তায় কি এভাবে নাগরিকদের আটকাতে পারে?”
মেয়র বলেন, কয়েক মাস আগেও দূতাবাসগুলোর সামনের রাস্তা দিয়ে সাধারণ মানুষ চলাচল করতে পারত না। আমাদের ফুটপাত দিয়ে আমাদের জনগণ হাঁটতে পারত না।
‘তারা ব্যারিকেড দিয়ে পথচারীকে রাস্তায় নামিয়ে দিত। আমরা সেগুলো উদ্ধার করেছি। এখন নগরবাসী মাথা উঁচু করে হাঁটতে পারে।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আনিসুল হক আরও বলেন, “গরিব হকারদের ফুটপাত থেকে সরিয়ে দেয়ার পাশাপাশি অনেক ক্ষমতাবান কোটিপতিদের দখল থেকেও ফুটপাত মুক্ত করেছি। ঢাকায় জনগণের সড়কে আপনাদের কোনো ‘নো পার্কিং’ দেখাতে চাই না। জনগণের চলার পথ জনগণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। কেউ বাধা দিলে সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা।”
তিনি জানান, ২০১৯ সালের জুন মাসের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি রাস্তা, ফুটপাত ও নর্দমা নির্মাণ ও সংস্কার, রাস্তার সৌন্দর্য বাড়ান ও সবুজায়ন, এলইডি সড়কবাতি এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ শেষ করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি।
‘একটি স্বপ্নের শহর বিনির্মাণের পরিকল্পনা দেয়ার দায়িত্ব নগর পরিকল্পনাবিদদের। বাংলাদেশকে সুন্দর করতে তারাই সবচেয়ে বেশি অবদান রাখতে পারেন’- যোগ করেন মেয়র।
বুয়েটের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আফসানা হকের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম রহমান, বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সভাপতি পরিকল্পনাবিদ ড. এ কে এম আবুল কালাম।
এ সময় ‘নগর শৈলী’নামে ইউএসএবি’র বার্ষিক প্রতিবেদনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। উদ্বোধন শেষে এক পোস্টার প্রদর্শনীরও আয়োজন করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
এমএসএস/এমএমএ/এমএআর/এমএস