ফয়েস লেকের প্রেমে আত্মহারা বিদেশিরা
বন্দরনগরী চট্টগ্রামের কৃত্রিম লেক বা হ্রদ দেখে এর প্রেমে পড়ে গেছেন এশিয়া প্যাসেফিক অঞ্চলের পর্যটনবিষয়ক সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা।
সোমবার থেকে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে পর্যটনবিষয়ক সচিব পর্যায়ের আন্তর্জাতিক সেমিনার। তিনদিনব্যাপী জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক ট্যুরিজম অরগানাইজেশনের (ইউএনডব্লিউটিও) জয়েন্ট কমিশনের ২৯তম বৈঠকে বিশ্বের ৯টি দেশ থেকে মন্ত্রী, সচিব, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন। আর এই সম্মেলনের অংশ হিসেবে আগত অতিথিদের জন্য টেকনিকেল ট্যুর হিসেবে পাহাড়তলীর ফয়েস লেক ও নাভাল সমুদ্র সৈকত পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা হয়।
মঙ্গলবার বিকেলে বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের ওই স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
চারদিকে পাহাড়ঘেরা এই লেকের মাঝখানে অরুণাময়ী, গোধূলি, আকাশমনি, মন্দাকিনী, দক্ষিণী, অলকানন্দা নামে নানান হ্রদ দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তারা। ফয়েস লেকে পৌঁছলে ইঞ্জিতচালিত নৌকায় তাদের এসব লেক ঘুরানো হয়।
আগে এটি উন্মুক্ত থাকলেও এখন বিনোদনের জন্য থিম পার্ক করা হয়েছে। সেখানে গড়ে তোলা হয়েছে ওয়াটার ওয়ার্ল্ড। সবচেয়ে বেশি খুশী হয়েছেন তারা ওয়াটার ওয়ার্ল্ড দেখে।
ইউএনডব্লিউটিও’র ট্যুরিজমবিষয়ক এক্সিকিউটিভ সচিব জু জিং জাগো নিউজকে বলেন, নগরীর মধ্যে এমন একটি লেক সত্যিই সুন্দর। আমি এর প্রেমে পড়ে গেছি। বিশ্বব্যাপী প্রচারণা চালালে বিদেশ থেকে অনেক লোক আসবেন এই লেক দেখতে। আর পাশাপাশি সাগর ও পাহাড় দেখা যাবে চট্টগ্রামে এলে।
ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়ের এডিশনাল ডিরেকটর জেনারেল মীনাস্কি শরমা জাগো নিউজকে বলেন, ফয়েস লেক অত্যন্ত সুন্দর একটি জায়গা। আমি সত্যিই আত্মহারা।
নেপালের সংস্কৃতি, পর্যটন ও বেসরকারি বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব সংকর প্রসাদ অধিকারী বলেন, বাংলাদেশে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে। এর মধ্যে ফয়েস লেক দেখে খুব ভালো লাগল। আমরা নগরের ভেতরে এমন সুন্দর লেক খুব কম দেখেছি।
জয়েন্ট কমিশনের এই সেমিনার বিশ্ব পর্যটন সংস্থার অন্যতম বড় ইভেন্ট। এ বৈঠকে কমিশন ফর এশিয়া অ্যান্ড দ্যা প্যাসেফিকভুক্ত (সিএপি) ২১টি এবং কমিশন ফর সাউথ এশিয়াভুক্ত (সিএসএ) ৯টি দেশ থেকে মন্ত্রী, সচিব, উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাসহ পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং ইউএনডব্লিউটিও’র এফিলিয়েটেড প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিয়েছে। দেশ বিদেশের ৩০০ জন প্রতিনিধি এ আন্তর্জাতিক ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন।
এইচএস/জেডএ/বিএ