রামপাল ইস্যুতে বিশেষজ্ঞ মতামত নেয়া উচিত
রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত মিশেল মিকায়েল হেনরী উইথনার। এছাড়া বাংলাদেশে এখনও নিরাপত্তা সংকট আছে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে কূটনৈতিক প্রতিবেদকদের সংগঠন ডিক্যাব আয়োজিত ‘ডিক্যাব টক’ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, দেশের উন্নয়নের জন্য বিদ্যুৎ যেমন জরুরি, তেমনি পরিবেশ সুরক্ষার বিষয়টিও ভাবনা থেকে ছেঁটে ফেলা যাবে না। তাই রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়া উচিত।
ডিক্যাব সভাপতি রেজাউল করিম লোটাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পান্থ রহমান।
উইথনার বলেন, এখনো বিদেশিদের জন্য বাংলাদেশে নিরাপত্তা সংকট রয়েছে। আমরা কূটনীতিকরা এখনও ঝুঁকিটা অনুভব করি। আমাদের চলাফেলায় এখনও সতর্কতা বজায় রাখতে হয়।
উইথনার বলেন, বিভিন্ন দেশ এখনো তাদের নাগরিকদের জন্য বাংলাদেশ ভ্রমণে সতর্কতা বহাল রেখেছে। তবে পৃথিবীর সবদেশেই একে ধরনের নিরাপত্তা সংকট বিদ্যমান।
ডেনমার্ককে বাংলাদেশের অন্যতম অংশীদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে দারিদ্র বিমোচনই আমাদের প্রধান ইস্যু। সাম্প্রতিক সময়ে অর্থনৈতিকভাবে এগিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের অংশীদার হতে চায় ডেনমার্ক।
তার মতে, ডেনমার্কে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা ভোগ করায় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ।
অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে ডেনমার্ক বাংলাদেশে পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, কৃষি, মানবাধিকার ও বিভিন্ন উন্নয়ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা দিয়ে আসছে বলে জানান তিনি।
তৈরি পোশাকের পাশাপাশি জাহাজ নির্মাণ থেকে শুরু করে নানা ক্ষেত্রে ডেনমার্ক বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রদূত। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশ যে সংকটের মুখে রয়েছে, তা থেকে এখানকার মানুষকে রক্ষার কাজও করে চলেছে ডেনমার্ক। এ ছাড়া ওষুধ, সিরামিক পণ্য এবং চামড়াপণ্য রফতানির বাজারও খোঁজা হচ্ছে।
তিনি জানান, বাংলাদেশের সপ্তম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় যেসব খাতের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়া হয়েছে, সেভাবেই তাদের উন্নয়ন সহযোগিতা দেয়ার পরিকল্পনা সাজানো হয়েছে।
উইথনার বলেন, আমরাই বিশ্বের প্রথম দেশ যারা ২০৫০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি শূন্যতে এনে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার শুরুর লক্ষ্য নিয়েছি।
রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের ইস্যুতে সব সময় আন্তর্জাতিক কনভেনশন গুলোর প্রতি দৃষ্টি রেখে পদক্ষেপ নিতে হয়। বিষয়টি দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধানের প্রতি গুরুত্ব দিয়ে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু মিয়ানমারের জন্য রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ। আমরা দু’দেশকেই এ বিষয়ে আহ্বান জানাচ্ছি।
বিদেশি বিনিয়োগ সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে রাষ্ট্রদূত বলেন, জিডিপির আকার অনুযায়ী বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়ছে না।
জেপি/এআরএস/এএইচ/এমএস
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ নিউ এইজ সম্পাদককে হয়রানি, ঘটনা তদন্তের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
- ২ লেখাপড়ায় মনোযোগ দেন, প্রয়োজনে আবারও রাস্তায় নামবো
- ৩ ৩৭ বছর পর চট্টগ্রাম কমার্স কলেজে প্রকাশ্যে শিবির
- ৪ ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি এ সপ্তাহে, ক্যাডার-ননক্যাডারে পদ ৩৭০১
- ৫ সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষ, ওষুধে ব্যয় ২০ শতাংশ