শান্তি প্রতিষ্ঠায় গৌতম বুদ্ধের জীবনাদর্শ অনুসরণ একান্ত প্রয়োজন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শান্তি ও সম্প্রীতির মাধ্যমে একটি আদর্শ সমাজ গঠনই ছিল গৌতম বুদ্ধের একমাত্র লক্ষ্য। বুদ্ধ পুর্ণিমা উপলক্ষে আজ এক বাণীতে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ভয়, ক্রোধ ও লোভ-লালসাকে পরিহার করে গৌতম বুদ্ধ সারাজীবন মানুষের কল্যাণে এবং সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অহিংস, মৈত্রী ও করুণার বাণী প্রচার করে গেছেন। বর্তমান বিশ্বে মূল্যবোধের অবক্ষয় রোধ ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য গৌতম বুদ্ধের জীবনাদর্শ ও শিক্ষা অনুসরণ করা একান্ত প্রয়োজন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ। আবহমান কাল থেকে এ দেশে প্রত্যেক ধর্মের লোক উৎসবমুখর পরিবেশে নিজ নিজ ধর্ম নির্বিঘ্নে পালন করে আসছে। বিভিন্ন ধর্মের অনুসারীগণ পাশাপাশি বসবাস করে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির অনুপম দৃষ্টান্ত স্থাপন করে চলেছে।
তিনি বলেন, হাজার বছরের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে আমরা বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীগণও বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সমানভাবে অংশগ্রহণ করে আসছেন।
বাংলাদেশের বৌদ্ধ সম্প্রদয়ের মহামানব বুদ্ধের সাম্য ও মৈত্রীর বাণী এবং তার আদর্শ ধারণ ও লালন করে জ্ঞান, মেধা ও কর্মদক্ষতার মাধ্যমে বাংলাদেশকে একটি মানবিক, শান্তিপূর্ণ সমৃদ্ধ দেশ প্রতিষ্ঠায় কার্যকর ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রী বাণীতে সবার সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
এফএইচএস/বিএ