কক্সবাজার রুট নিয়ে বিমানের ইতিবাচক পরিকল্পনা
কক্সবাজার রুট নিয়ে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের রয়েছে দীর্ঘমেয়াদি ইতিবাচক পরিকল্পনা। পর্যটন শিল্প বিকাশে বর্তমান সরকার কক্সবাজারকে নিয়ে যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সেটিকে আরও গতিশীল করতে ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বিমান বোয়িং-৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ পরিচালনা শুরু করেছে।
কক্সবাজারকে ঘিরে সরকারের ২৫ মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের অন্যতম হচ্ছে কক্সবাজার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প। কক্সবাজারকে পর্যটনের লীলাভূমি বানাতে বিশেষ করে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করবে। বিমান বাংলাদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
ঢাকা-কক্সবাজার রুটে বিমানের বোয়িং-৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ চলাচল শুরু করার কারণে বেসরকারি এয়ারলাইন্সের ছোটখাটো এয়ারক্রাফটগুলোর ওপর কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে বিমানের মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস শাখার পরিচালক আলী আহসান জাগো নিউজকে বলেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাশাপাশি বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলো ঢাকা-কক্সবাজার রুটকে সমৃদ্ধ করছে।
এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এহসানুল গনি চৌধুরী বলেন, ঢাকা-কক্সবাজার রুটে প্রতিদিনই যাত্রী বাড়ছে। কক্সবাজার বিমানবন্দরে রানওয়ের দৈর্ঘ্য ৬ হাজার ৭৭৫ ফুট থেকে ৯ হাজার ফুট করা হয়েছে। রানওয়ের প্রস্থ ১৫০ ফুট থেকে ২০০ ফুট করা হয়েছে। এখন কেবল ৪৯ আসনের জেট এয়ারক্রাফ্ট এমব্রয়ার-১৪৫ বা ৬৮ আসনের এটিআর ৭২-৫০০ কিংবা ৭৬ আসনের ড্যাস-৮ নয়, ১৬২ আসনের বোয়িং-৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ উঠা-নামা করতে শুরু করেছে এই বিমানবন্দর দিয়ে।
জানা গেছে, চল্লিশের দশকে ব্রিটিশরা যুদ্ধবিমান উড্ডয়ন-অবতরণের জন্য কক্সবাজারে প্রথম এয়ারফিল্ড তৈরি করে। সে সময় দুই আসনবিশিষ্ট যুদ্ধ বিমানের জন্য এটি নির্মিত হলেও সময়ের ব্যবধানে এখন দেড় শতাধিক যাত্রী বহনকারী উড়োজাহাজও উঠানামা করতে পারে এই বিমানবন্দরে।
স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ছোটখাটো বাণিজ্যিক বিমান পরিচালনার উপযোগী করে গড়ে তোলা হয় কক্সবাজার বিমানবন্দরকে। প্রথমে অ্যাডভান্স টার্বো-প্রপ (এটিপি) বিমান চলাচল করলেও বিগত এক দশকে জেট এয়ারক্রাফ্ট এমব্রয়ার-১৪৫ বা এটিআর ৭২-৫০০ কিংবা ড্যাস-৮ নয় বর্তমানে ১৬২ আসনের বোয়িং-৭৩৭-৮০০ উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন ২০১৮ সালে কক্সবাজারে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট শুরু হবে।
আরএম/এমআরএম/জেডএ/জেআইএম