চিড়িয়াখানায় জলহস্তি পরিবারে নতুন অতিথি
সুদূর আফ্রিকার দেশ কেনিয়ার কাছ থেকে পাওয়া জাতীয় চিড়িয়াখানার ২৫ বছরের বাসিন্দা একটি জলহস্তি বাচ্চার জন্ম দিয়েছে।
বুধবার দুপুরে জন্ম নেয় জলহস্তির একটি বাচ্চা। বাচ্চাটির নাম রাখা হয়েছে ‘মায়াপরী’।
জাতীয় চিড়িয়াখানায় দুই যুগেরও বেশি সময়ের বাসিন্দা মা জলহস্তির জন্ম কেনিয়াতে। ১৯৯২ সালের সেপ্টেম্বরে কেনিয়া সরকার বাংলাদেশকে উপহার দেয় এ জলহস্তিটি। এ প্রাণীর গড় আয়ু ৩২ থেকে ৩৫ বছর। কিন্তু আবদ্ধ অবস্থায় খাঁচায় বা বেষ্টনীতে এর গড় আয়ু ২৮ থেকে ৩০ বছর।
চিড়িয়াখানার কিউরেটর ডা. এস এম নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আবদ্ধ অবস্থায় থাকা চিড়িয়াখানায় এ ধরনের প্রাণীর বাচ্চা জন্মের ঘটনা অনন্য ঘটনা।
চিড়িয়াখানা সূত্র জানায়, বুধবার দুপুরে বৃহৎ প্রাণীশাখার (তৃণভোজী) অ্যানিম্যাল কেয়ারটেকার জলহস্তিকে খাবার দিতে গিয়ে বাচ্চা দেখতে পান। মুহূর্তে ঘটনাটি জানাজানি হয়ে যায়। বর্তমানে চিড়িয়াখানায় মোট ১২টি জলহস্তি রয়েছে।
চিড়িয়াখানার কিউরেটর গণমাধ্যমকে জানান, আফ্রিকার নদ ও হ্রদে এ ধরনের জলহস্তির বাস। এদের ওজন দেড় থেকে আড়াই টন। স্থূল নরম ও লোমবিহীন শরীর ও পা শরীরের তুলনায় বেশ ছোট হয়। দেড় থেকে চার মিটার উচ্চতার এ প্রাণীর মুখে বড় দুটি দাঁত থাকে। এরা ভালো সাতারু ও বেশিরভাগ সময় পানিতে কাটায়। খাবারের সময় ডাঙায় উঠে আসা জলহস্তি তৃণভোজী প্রাণি। সবুজ ঘাস ও শাকসবজি এদের প্রধান খাদ্য। আট মাস গর্ভধারণের পর একটি করে বাচ্চার জন্ম দেয় জলহস্তি।
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিড়িয়াখানায় আসা শিশুদের অন্যতম আকর্ষণ জলহস্তি। ফলে মায়াপরীর জন্মের খবরে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থী সমাগম বাড়তে পারে।
এসআর/পিআর