তবুও অপেক্ষায় হাজারও হজ এজেন্সি
চলতি বছর হজে ৫০ হাজার কোটা বৃদ্ধির জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের করা অনুরোধে এখনও সাড়া দেয়নি সৌদি সরকার। তবুও কোটা বৃদ্ধির অনুমতি পাওয়ার অপেক্ষায় দিন গুনছে হাজারও হজ এজেন্সি।
ধর্ম মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যেই বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ গাইড ও মোয়াল্লেম ছাড়া ১ লাখ ১৩ হাজার ৯৪৭ জনের নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার কোটা থাকলেও আজ (মঙ্গলবার) পর্যন্ত ৩ হাজার ৬৭৮ জনের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়। সরকারি ব্যবস্থাপনার রেজিস্ট্রেশনের জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেয়া সময়সীমা ৩ মে (বুধবার) শেষ হচ্ছে।
সরকারি ব্যবস্থাপনায় শূন্য কোটা কি বেসরকারি হজ এজেন্সির মধ্যে বণ্টন করা হবে? এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) সভাপতি আবদুস সোবহান বলেন, সৌদি সরকারের ই-হজ রেজিস্ট্রেশন নিয়মানুসারে সরকারি শূন্য কোটা বেসরকারি খাতে প্রদান খুব সহজ কাজ হবে না।
তিনি জানান, আগামীকাল বুধবার তারা (হাব নেতারা) ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমানের সঙ্গে সচিবালয়ে তার দফতরে দেখা করে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ থেকে হজে না যাওয়ায় বাংলাদেশের জন্য কোটা বৃদ্ধিতে সমস্যা নেই। সম্প্রতি সৌদি আরবের মক্কা ও মদিনার ইমামসহ একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে আসলে তাদের কাছে বাংলাদেশের হজ কোটা বৃদ্ধির ব্যাপারে অনুরোধ জানানো হয়।
কোটা বৃদ্ধির বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবদুল জলিলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ৫০ হাজার কোটা বৃদ্ধির অনুরোধে এখনও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যায়নি। তবে কোটা বৃদ্ধির ব্যাপারে প্রচেষ্টা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
সৌদি সরকারের সঙ্গে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের করা হজ চুক্তি অনুসারে, চলতি বছর সরকারি ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের হজ করার অনুমোদন দিয়েছে সৌদি সরকার। তন্মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১০ হাজার ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ লাখ ১৭ হাজার ১৯৮ জন হজে যেতে পারবেন। ৫০ হাজার কোটা বৃদ্ধির ব্যাপারে সৌদি সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে জানায় ধর্ম মন্ত্রণালয়।
এমইউ/জেডএ/ওআর/এমএস