ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

লাদেন-আওলাকির প্রবন্ধে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ আশফাক

প্রকাশিত: ০৮:১০ এএম, ০২ মে ২০১৭

রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে আটক আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) আইটিপ্রধান আশফাক-উর-রহমান নিহত আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেন ও শেখ আনোয়ার আল আওলাকির জিহাদী প্রবন্ধ পড়ে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

সোমবার দিবাগত রাতে আশফাককে আটকের পরে মঙ্গলবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান মনিরুল ইসলাম।

পুলিশ বলছে, আশফাক-উর-রহমান ওরফে অয়ন ওরফে আরিফ ওরফে অনিক ২০১৪ সালে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ছাত্র ছিলেন।

ছাত্র থাকা অবস্থাতেই এবিটির সাংগঠনিক কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। তারই ধারাবাহিকতায় ২০১৫ সালে যোগ দেন এবিটির সামরিক বিভাগে।

সংবাদ সম্মেলনে মনিরুল ইসলাম জানান, আশফাক আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের প্রধান চাকরিচ্যুত মেজর জিয়ার অধীনে রাজধানীর উত্তরায় ও পল্লবীর কালাপানি এলাকায় নাস্তিক ব্লগার হত্যা সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রশিক্ষণে অংশ নেন। পরবর্তী সময়ে এবিটির সামরিক বিভাগের আইটি শাখার প্রধান হিসাবে নিযুক্ত হন তিনি।

আনসারুল্লাহর সদস্যরা কথিত নাস্তিক ব্লগারদের ফেসবুক ও অন্যান্য অ্যাকাউন্টের আইডির তথ্য আশফাককে দিতেন। আশফাক সেসব অ্যাকাউন্ট ‘হ্যাক’ করে তাদের আসল নাম-ঠিকানা বের করে ‘টার্গেট’ সুনির্দিষ্ট করতে সাহায্য করতেন।

সিটিটিসিপ্রধান জানান, আশফাকের সঙ্গে কয়েক মাস আগে রাজধানীর বাইরে কোথাও জিয়ার দেখা হয়। সর্বশেষ ২ মাস আগে তাদের যোগাযোগ হয়।

তবে জিয়ার সর্বশেষ অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানেন না বলে আটক হওয়ার পর পুলিশের কাছে দাবি করেছেন আশফাক।

এবিটির বর্তমান সক্ষমতা সম্পর্কে সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসায় মনিরুল জানান, বর্তমানে এবিটি ‘ব্যাকফুটে’ থাকলেও সদস্য সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ ও সংগঠন গোছানোর কাজ করছে বলে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে।

আশফাকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের কাছে সোপর্দ করে তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে চাইবে পুলিশ।

কে এই মেজর জিয়াউল হক
মেজর জিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তা। ২০১১ সালে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে চাকরিচ্যুত করা হয় তাকে। এরপর থেকেই তিনি আত্মগোপনে আছেন। ২০১৩ সালে প্রথমবারের মতো এবিটির সঙ্গে জিয়াউল হকের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পায় পুলিশ। জিয়া জঙ্গিদের যুদ্ধ ও বোমা তৈরি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেন বলে পুলিশের কাছে তথ্য আসে। দীর্ঘ তদন্তের পর জিয়াকে এবিটির প্রধান হিসেবে চিহ্নিত করে পুলিশ। তাকে গ্রেফতার বা গ্রেফতারের বিষয়ে তথ্যদাতার জন্য ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।

এআর/এনএফ/জেআইএম

আরও পড়ুন