ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বাজেটে বিভিন্ন খাতের ভর্তুকিতে স্বচ্ছতা নেই

প্রকাশিত: ১২:৩১ পিএম, ০২ মে ২০১৫

সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি) আয়োজিত এক সংলাপে বক্তরা বলেছেন, জাতীয় বাজেটে বিভিন্ন খাতে দেওয়া ভর্তুকিতে স্বচ্ছতা নেই। যে লক্ষ্যে দেওয়া হচ্ছে তাও অর্জন হচ্ছে না। এ খাতে প্রতিবছর কি পরিমাণ ব্যয় হচ্ছে তার সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। এছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে অব্যাহত ভর্তুকি ক্রমাগত ব্যয় বাড়াচ্ছে।

শনিবার রাজধানীর হোটেল লেকশোর-এ বাংলাদেশে ভর্তুকি ব্যবস্থা নিয়ে সিপিডি আয়োজিত এ সংলাপে উল্লেখিত বিষয় ছাড়াও ভর্তুকির সুফল পেতে একটি জাতীয় নীতিমালা করার দাবি জানান অর্থনীতিবিদরা।

সংলাপে অর্থ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল মান্নান বলেন, আমাদের সরকারের প্রধান লক্ষ্য দরিদ্রতা ও অসাম্যতা কমানো। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ ভর্তুকি খেয়ে খেয়ে বড় হয়েছে। এটি উঠিয়ে দেওয়া যাবে না। হঠাৎ করে উঠিয়ে দিলে রাজনৈতিক ও জনগণের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেবে। তবে এটি সঠিক স্থানে দেওয়া হচ্ছে কি না সেটি বিবেচনা করতে হবে।

সাবেক অর্থ উপদেষ্টা মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, ভর্তুকির সংজ্ঞায় স্বচ্ছতা আনা দরকার। কাকে ভর্তুকি বলবেন, কাকে বলবেন না সেটি নিরূপণ করতে হবে। বাজেটে ভর্তুকি ১৭ হাজার কোটি টাকা বলা হয়েছে। অথচ কেউ কেউ বলছেন ৩০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। ভর্তুকির অঙ্কের হিসাবে গরমিল রয়েছে।

তিনি আরো বলেন, সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে যেগুলো উৎপাদন ব্যয় মেটাতে সক্ষম না। প্রতিবছর তাদের ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। এতে সরকারের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। যে খাত থেকে কোনোভাবেই মুনাফা আসছে না, সেই খাতগুলোতে ভর্তুকি বন্ধ করে বেসরকারি খাতে ছেড়ে দেওয়া অথবা বন্ধ করে দেওয়া উচিত।

ড. দেবপ্রিয় বলেন, যে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে তা তেলা মাথায় তেল দেওয়ার মতো। দরিদ্র মানুষকে উদ্দেশ্য করে ভর্তুকি দেওয়া হলেও তা মূলত পাচ্ছেন ধনীরাই। বিপিসিএল’র মাধ্যমে যে ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে তা পাচ্ছে বড় বড় কিছু কোম্পানি। কাঙ্ক্ষিত উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের মতো দেশে ভর্তুকির প্রয়োজন রয়েছে। এটি অনেক ক্ষেত্রে বিনিয়োগের মতো কাজ করে। এজন্য স্বচ্ছভাবে সঠিক ক্ষেত্রে দিতে হবে।

সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চলনায় সংলাপে অন্যান্যদের মধ্যে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মুস্তাফিজুর রহমান, বাংলাদেশ গবেষণা উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) গবেষক ড. আসাদুজ্জামান, ইকনোমিক রিসার্চ গ্রুপের (ইআরজি) গবেষণা পরিচালক ড. সাজ্জাদ জাহিদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

আরএস/আরআই