ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে চীনা প্রতিষ্ঠান
দরদাতা প্রতিষ্ঠানের প্রস্তাবিত ব্যয় প্রস্তাব কয়েক দফা সংশোধনের পর ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণে ভ্যাট-ট্যাক্স ছাড়া সর্বশেষ ব্যয় দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩৬ কোটি ডলার। চীনা এক্সিম ব্যাংকের অর্থায়নে জি-টু-জি ভিত্তিতে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণ করবে ‘চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশন (সিএমসি)’।
চীনের এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চূড়ান্ত বাণিজ্যিক চুক্তি স্বাক্ষরের একটি প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। বুধবার সচিবালয়ে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ প্রস্তাবসহ মোট ৫টি প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়।
সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটি প্রথমে ‘পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ’ (পিপিপি)-এর আওতায় বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। তবে প্রথম দফায় ‘এক্সপ্রেস অব ইন্টারেস্ট’ (ইওআই) আহ্বানে কোনো সাড়া পাওয়ায় দ্বিতীয় দফায় সাতটি প্রস্তাব পাওয়া যায়। পরে প্রকল্পটি বাস্তবায়নে চীনা সরকারের সহযোগিতার আশ্বাস পাওয়া যায় এবং চীনা অর্থায়নে এটি বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
গত ৩০ নভেম্বর গৃহীত সরকারের সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হচ্ছে, চীনা অর্থায়নে বাস্তবায়িতব্য সব প্রকল্পের ক্ষেত্রে সীমিত দরপত্রের মাধ্যমে চীনা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্বাচিত হবে। তবে উভয় রাষ্ট্রের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট যেমন- অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা বা অন্যান্য বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে সীমিত পর্যায়ে প্রয়োজনে ভিন্নরূপ সিদ্ধান্ত গ্রহণের বিষয়টি ব্যতিক্রম হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে।
এছাড়াও বৈঠকে চীন সরকারের ঋণের আওতায় পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেডের (পিজিসিবি) প্রস্তাবিত ‘এক্সপানশন অ্যান্ড স্ট্রেনদেনিং অব পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্ক আন্ডার ডিপিডিসি এরিয়া’ শীর্ষক প্রকল্পের কাজ সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে বাস্তবায়নের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। বৈঠকে আগামী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে দেশের ইউরিয়া সারের চাহিদা মেটানোর জন্য সৌদি আরব থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে ইউরিয়া সার আমদানির দশম সংশোধনী চুক্তির ভূতাপেক্ষ অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে বৈঠকে ফরিদপুরের মধুমতি নদীর বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্প এবং বাগেরহাটের পোল্ডার পুনর্বাসন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
কমিটির আহ্বায়ক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত রাষ্ট্রীয় কাজে দেশের বাইরে থাকায় বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এ সময় কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমইউএইচ/আরএস/এএইচ/জেআইএম