ওয়াসা ব্যর্থ সংস্থা : সাঈদ খোকন
ওয়াসাকে ব্যর্থ সংস্থা অভিহিত করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘সংস্থাটির কারণে নগরবাসীর দুর্ভোগ বাড়ছে। নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। খাল দখল হচ্ছে। আমাদের ওপর দায় আসছে।’
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) টিএসসিতে ঢাকা উৎসবের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বিগত পাঁচদিনের টানা বর্ষণে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় যে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে তা নিরসনের দায়িত্ব ঢাকা ওয়াসার। কিন্তু বলতে বাধ্য হচ্ছি ঢাকা ওয়াসা আজকে ব্যর্থ সংস্থায় পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ঢাকা ওয়াসা হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত। কিন্তু এ জলাবদ্ধতা নিরসনে কি হাজার হাজার কোটি টাকার প্রয়োজন পড়ে? এতে তাদের মনোযোগ প্রয়োজন। তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যদি একটু মনোযোগী হন তাহলে এ জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব। অথচ তাদের খুঁজে পাওয়া যায় না। বৃষ্টিতে তলিয়ে যাচ্ছে শহর। তারা ব্যস্ত হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন কীভাবে করবেন সে কাজে। আপনাদের বড় প্রকল্পের আগে ছোট ছোট সমস্যা আগে সমাধান করতে হবে।’
সাঈদ খোকন বলেন, ‘প্রত্যেকটি ওয়ার্ডের প্রতিটি নাগরিকের সঙ্গে কথা হয় আমার। কিন্তু কোথাও পানি নেই। কোথাও খাবার পানির অভাব। আবার যে বাসায় পানি থাকে সে বাসায় ময়লা-দুর্গন্ধযুক্ত পানি। অথচ এসব বিষয়ে তাদের যখন বলি তারা বলে তাদের অর্থের অভাব রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বড় বড় প্রকল্প করছে অথচ সামান্য একটা কথা বললে তারা বলে তাদের অর্থের অভাব রয়েছে। এ অবস্থায় তো চলতে পারে না। হয় ঢাকা ওয়াসাকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে একীভূত করতে হবে, নতুবা ঢাকা ওয়াসার নেতৃত্বে পরিবর্তন আনতে হবে।’
এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সাইকেল লেন নির্মাণের আশ্বাস দিয়ে তিনি বলেন,‘পর্যায়ক্রমে সব সড়কে এই সাইকেল লেন হবে।’
ঢাকা উৎসবের যৌথ আয়োজক ছিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ডিবেটিং সোসাইটি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।
অন্যদের মধ্যে ছিলেন ঢাবির শিক্ষক অধ্যাপক ড. মাহবুবা নাসরিন, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খান মো. বিল্লাল প্রমুখ।
এর আগে গতকাল সোমবার রাজধানীর শান্তিনগরে বৃষ্টি পরবর্তী অবস্থা পরিদর্শনে গিয়ে সাঈদ খোকন বলেন, ‘ডিএসসিসির উন্নয়ন কাজের ফলে গত বছরের চেয়ে এ বছর জলাদ্ধতা অনেক কম। পুরো কাজ বাস্তবায়ন হলে এ চিত্র থাকবে না। আগামী আগস্টের মধ্যে জলাবদ্ধতার চিত্র একেবারেই থাকবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘শান্তিনগরে চলতি বর্ষা মৌসুমে ৮৫ ভাগ জলাবদ্ধতা কমেছে। চলতি বছরের জুন ও জুলাইয়ের মধ্যে শান্তিনগরের ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ শেষ হবে। এরপর আর কোনো দুর্ভোগ থাকবে না।’
এমএসএস/এসআর/পিআর