ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

হাওরাঞ্চলের মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে সরকার

প্রকাশিত: ১১:৩৪ এএম, ২৩ এপ্রিল ২০১৭

অসময়ের বন্যায় ফসল তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হাওর এলাকার সব মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে সরকার। এরই মধ্যে বিতরণের জন্য ৩ হাজার ৩২৪ মেট্রিক টন চাল ও ১ কোটি ৯৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা জরুরি ত্রাণ সহায়তা বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

রোববার সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত হাওর অঞ্চলের চলমান বন্যা পরিস্থিতির উপর আন্তঃমন্ত্রণালয়ের পর্যালোচনা সভায় এ তথ্য জানানো হয়।

সভায় সভাপতিত্ব করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে বৈঠক সূত্র বলছে, হাওরাঞ্চলে ক্ষতিগ্রস্ত ৫ লাখ পরিবারকে ভিজিএফ কার্ড দেয়া হবে। আর ওএমএসের (কমমূল্যে খোলাবাজারে পণ্য বিক্রি) আওতায়ও খাদ্য সহায়তা দেবে সরকার।

এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হাওরের জেলাগুলোর জন্য বিশেষ সহায়তা হিসেবে ৩ লাখ ৩০ হাজার অতি দরিদ্র পরিবারকে আগামী জুলাই পর্যন্ত ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে পরিবার প্রতি ৩০ কেজি করে বিনামূল্যে চাল বিতরণ করা হবে।

সাধারণ দরিদ্র পরিবারের জন্য ১৫ টাকা কেজি দরে ওএমএস কর্মসূচির মাধ্যমে ১ লাখ ৭১ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।

বৈঠক সূত্র আরও জানায়, সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা সুনামগঞ্জে ১ লাখ ৫০ হাজার পরিবারকে ভিজিএফ ও ৯১ হাজার পরিবারকে ওএমএস’র আওতায় খাদ্য সহায়তা দেয়া হবে।

এর আগে সম্প্রতি ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গেলে ২ লাখ লোকের খাদ্য সহায়তা চেয়েছিলেন স্থানীয় জনগণ। তবে সরকার তার চেয়ে ৪১ হাজার বেশি মানুষের খাদ্য সহায়তার বরাদ্দ দিয়েছে।

এদিকে সভায় হাওরাঞ্চলের অকাল বন্যা সমস্যার কারণ চিহ্নিত ও ভবিষ্যত করণীয় নির্ধারণে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য ১৮ সদস্যের একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান করা হয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবকে।

সূত্র বলছে, আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কমিটিকে সুপারিশ আকারে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্যে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে টিম পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পানি বিশুদ্ধকরণের পর্যাপ্ত ট্যাবলেট সরবরাহ করবে। আর বন্যা পরবর্তী পুনর্বাসনের জন্য ৩৬ হাজার কৃষককে কৃষি প্রণোদনা দেবে কৃষি মন্ত্রণালয়।

এছাড়া সংশ্লিষ্ট এলাকায় অতিরিক্ত ১০ কর্মকর্তাকে তিনমাসের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে হাওর এলাকায় পদায়ন করা হয়েছে।

এমইউএইচ/এমএমএ/আরআইপি

আরও পড়ুন