আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও সফল আমাদের নারী পুলিশ : আইজিপি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, আমাদের নারী পুলিশ সদস্যরা শুধু দেশেই নয়, আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও অত্যন্ত সাহসিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে চলেছে। তিনি বলেন, নারী পুলিশের কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজ (পিএসসি) কনভেনশন হলে পুলিশ উইমেন অ্যাওয়ার্ড ২০১৭ প্রদান অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
আইজিপি বলেন, দেশ ও দেশের বাইরে বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ কাজেও সফল হচ্ছেন নারী পুলিশ সদস্যরা। তাদের এই সাফল্য আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশংসিত হচ্ছে। এমনকি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশগুলোতেও কাজ করছে আমাদের নারী সদস্যরা।
হাইতি ও কঙ্গোতে বাংলাদেশ পুলিশের দু’টি নারী ইউনিট জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুনাম অর্জন করছে বলেও জানান তিনি।
এ কে এম শহীদুল হক বলেন, নারী পুলিশের কার্যক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত করার লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। তাদের সমম্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ নারী আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন ও উইমেন অ্যান্ড ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশ পুলিশে প্রথম নারী সদস্য অন্তর্ভুক্ত করেন। সেই সময়ে ১৪ জন নারীর যোগদানের মধ্যদিয়ে বাংলাদেশ পুলিশে নারীর অগ্রযাত্রার সূচনা হয়। তা আজ সাফল্য ও দক্ষতার মানদণ্ডে সুসংহত হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিপিডব্লিউএন সভাপতি ডিআইজি মিলি বিশ্বাস। আইজিপি এ কে এম শহীদুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কর্মক্ষেত্রে নারী পুলিশের অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাত ক্যাটাগরিতে ২টি প্রতিষ্ঠান এবং ২১ জন নারী পুলিশ সদস্যকে এ অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল পুরস্কারপ্রাপ্তদের হাতে অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি, ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। এছাড়াও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
জেইউ/বিএ