ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ক্ষণিক স্বস্তি নয়, স্থায়ী সমাধান চান যাত্রীরা

প্রকাশিত: ০২:৫৬ এএম, ২০ এপ্রিল ২০১৭

রাজধানীতে গত কয়েকদিনের গণপরিবহন দুর্ভোগের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার থেকে আবারও শুরু হয়েছে সিটিং বাস সার্ভিস চলাচল।

আপাতভাবে ১৫ দিনের জন্য সিটিং সার্ভিস চলাচলের কথা জানানো হয়েছে। এরপর যৌথ সভার মাধ্যমে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে এভাবে ক্ষণস্থায়ী নয়, স্থায়ী সমাধান চান সাধারণ মানুষ।

এরআগে গত ১৬ এপ্রিল থেকে রাজধানীতে সব ধরনের সিটিং সার্ভিস বন্ধ করে লোকাল সার্ভিস চালু হলে তীব্র বাস সংকট ও হয়রানিতে পড়েন রাজধানীবাসী।

তার ওপর পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এবং যোগাযোগ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর কথাবার্তায় লোকাল-সিটিং নিয়ে অনেকটাই বিভ্রান্তিতেই ছিলেন সাধারণ যাত্রীরা।

বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে রাজধানীর কয়েকটি রুটের যাত্রীদের সঙ্গে নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে কথা বলে জাগো নিউজ।

সরকারি নতুন সিদ্ধান্ত সম্পর্কে আবিদ হাসান প্রিতম নামে এক শিক্ষার্থী জানান, ১৫ দিন আর ১৫ মাস নয়, সরকারের উচিৎ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে স্থায়ী সমাধান করা। আগামী ৪-৫ বছরের জন্য যুৎসই ভাড়া নির্ধারণ করা।

তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক আজ আমরা স্বস্তিতে আছি, তবে ক্ষণিকের স্বস্তি নয়, স্থায়ী সমাধান চাই।

খিলখেত থেকে সদরঘাটের যাবেন ব্যবসায়ী রাহাত বিন অপু। তিনি বলেন, ‘গত ৪ দিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলাম, অনেক পথ পায়ে হেঁটে চলেছি। বাস মালিকদের ন্যুনতম মানবতাবোধ থাকলে পরিস্থিতি এমন হতো না। আজ থেকে বাস পেয়ে কিছুটা স্বস্তিতে আছি। অন্তত অফিস থেকে কীভাবে বাড়ি ফিরবো, এ নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে না। তবে এসব সংবেদনশীল বিষয় ঝুলিয়ে না রেখে দীর্ঘস্থায়ী সমাধান করা উচিত।

জিমি জুবায়েদ নামে একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজমেন্ট ট্রেইনি বলেন, ‘বাংলাদেশে অনেক আইন আছে কিন্তু প্রয়োগ নেই। চলমান আইনগুলোর প্রয়োগ থাকলে বাস মালিকরা ইচ্ছামতো বাস বন্ধ আর চালু করতে পারতো না। আল্লাহ্‌র অশেষ রহমত যে ক্ষণিকের জন্যে হলেও সমাধান একটা হয়েছে। তবে মোবাইল কোর্টের অভিযান বন্ধ রাখার আমি কোনো কারণ দেখি না। আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগ না থাকলে ভবিষ্যতে আরও ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।’

এর আগে গত ৪ এপ্রিল গণপরিবহনের ‘নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা’ঠেকাতে রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দেন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৬ এপ্রিল থেকে আংশিক বন্ধ হয় কথিত সিটিং সার্ভিস। পরে লোকাল বাসগুলোতে সরকার নির্ধারিত ভাড়া নিতে বাধ্য করতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শুরু হয় বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত। কিন্তু জরিমানার ভয়ে সড়কে গত চার দিন ধরে বাস নামায়নি অধিকাংশ মালিক।

এতে বাস সংকটে চরম ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ। এর ফলে বুধবার উদ্ভূত সংকট নিরসনে জরুরি বৈঠকে বসে বিআরটিএ ও পরিবহন মালিক সমিতি। ওই বৈঠকে বৃহস্পতিবার থেকে পরবর্তী ১৫ দিনের জন্য আগের নিয়মে কথিত সিটিং সার্ভিস চালানোর সিদ্ধান্ত দেয় বিআরটিএ।

এআর/এসআর/পিআর

আরও পড়ুন