আরও ১৫ দিন চলবে সিটিং সার্ভিস
আগামী ১৫ দিনের জন্য আগের মতো সিটিং সার্ভিস চলবে। অর্থাৎ সিটিং সার্ভিস বাতিলের দাবি ১৫ দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। যদি সিটিং সার্ভিসের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় তাহলে নির্দিষ্ট একটা নিয়মের ভিত্তিতে, নির্দিষ্ট একটি রঙের গাড়ি সিটিং সার্ভিসের জন্য থাকতে পারে।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান। তিনি বলেন, আগের মতো সিটিং সার্ভিস থাকলেও ভাড়া নিতে হবে সরকার নির্ধারিত ভাড়ার চার্ট অনুযায়ী। বিষয়টি তদারকির জন্য বিভিন্ন সড়কে ভ্রাম্যমাণ আদালত থাকবে।
তবে বাস থেকে বাম্পার ও অ্যাঙ্গেল অপসারণের জন্য পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত আগামী ১৫ দিনের জন্য স্থগিত থাকবে। ১৫ দিন পর সিটিং সার্ভিসের বিভিন্ন পক্ষের উপস্থিতিতে সভা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
পরিবহন মালিকদের চাপে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম সীমিত বা স্থগিত করা হয়েছে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, গণতান্ত্রিক সরকার হিসেবে আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে জনগণ। জনগণের স্বার্থ বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এজন্য আইন ভাঙা যাবে না। আইন মেনে ভাড়া আদায় করতে হবে।
যারা বিভিন্ন কারণে গাড়ি বন্ধ রেখে গণপরিবহনের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে তাদের বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে, তা জানতে চাইলে মশিয়ার রহমান বলেন, যারা রাস্তায় যানবাহন নামায়নি আমরা তাদের অনেকের তালিকা তৈরি করেছি। এখনও তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এর আগে বুধবার বিকেলে তেজগাঁও এলেনবাড়ি বিআরটিএ অফিসে বাস মালিক সমিতির সঙ্গে বিআরটিএ কর্মকর্তাদের জরুরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বৈঠকে রাজধানীর চলমান পরিবহন সঙ্কট ও যাত্রীদের ভোগান্তি এবং বাস ও মিনিবাস চলাচলের নিয়মনীতি নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা হয়। বিআরটি’র চেয়ারম্যান মশিয়ার রহমান, নিরাপদ সড়ক চাই’র (নিসচা) চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চনসহ পরিবহন মালিক ও মালিক সমিতির নেতারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল গণপরিবহনে ‘নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা’ ঠেকাতে রাজধানীতে সিটিং সার্ভিস বন্ধের ঘোষণা দেন সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১৬ এপ্রিল থেকে আংশিক বন্ধ হয় কথিত সিটিং সার্ভিস। তবে লোকাল সার্ভিসেও ভাড়া নেয়া হচ্ছিল সিটিং সার্ভিসের মতোই।
এআর/ওআর/এমএস