ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া স্মার্ট চা বিক্রেতার গল্প

প্রকাশিত: ০৩:৫৪ পিএম, ০৯ এপ্রিল ২০১৭

কর্মব্যস্ত মানুষ ছাড়াও স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় ফেরত শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের পদচারণায় মুখরিত দুপুরের রাজধানীর আগারগাঁও। অন্যদিকে আইডিবি ভবনের বিসিএস কম্পিউটার সিটিতে চলছে সিটিআইটি ফেয়ার। সব মিলিয়ে রোববার আগারগাঁওয়ে মানুষের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। আইডিবি ভবন সংলগ্ন সড়কের (নির্বাচন কমিশনের নতুন অফিস যাওয়ার পথে) পাশেই একটি সুসজ্জিত চায়ের দোকান। যেখানে দাঁড়িয়ে অনেকেই চা খাচ্ছেন। দোকানে মানুষের বেশ ভিড়।

চায়ের দোকানের নামটাও একটু ভিন্ন ধরনের ‘চা খোর’।  ভিন্নধর্মী নামটা দেখেই মূলত দোকানের দিকে এগিয়ে যাওয়া। যেতেই দেখা মিলল স্মার্ট তিন যুবকের। ওরা তিনজন মিলেই চালাচ্ছে এ দোকান।

teaদোকানে পাওয়া যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের চা। এগুলোর মধ্যে মাল্টা চা, ঝাল চা, তেঁতুল চা, গ্রিন টি, তুলসি চা, দুধ এলাচি চা, মধু চা, স্পেশাল রং চাসহ নানা ধরনের চা রয়েছে।

তাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেল, তিন বন্ধুর মধ্যে নাজমুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ের ছাত্র। নাজমুলের সঙ্গেই তার বন্ধু সাইফুল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্স-মাস্টার্স শেষ করেছে। অপরজন সাইদুল বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। তিন বন্ধু মিলেই ‘চা খোর’ নামে দোকান দিয়েছে আগারগাঁওয়ে।

নিজের দামি বাইক চালিয়ে চায়ের দোকানে এসে কাস্টমারের হাতে হাসি মুখের পাশাপাশি অতিথিপরায়ণতার মনোভাব নিয়ে বিভিন্ন আইটেমের চা তুলে দিচ্ছিলেন নাজমুল। সে সময়ই কথা হয় তার সঙ্গে।

আলাপকালে তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিংয়ের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। আমরা তিন বন্ধু মিলেই এ চায়ের দোকান দিয়েছি। শেওড়াপাড়ায় এক বাসায় ভাড়া থাকি আমরা।নিজেরাই কিছু করব এমন মানসিকতা থেকেই এ দোকান শুরু করা।

তিনি আরও বলেন, সব কাজই মহান। কাজ সবসময় কাজই। কাজের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ থাকা উচিত নয়। রাস্তায় চায়ের দোকান দেয়ার মধ্যে ছোট হওয়ার কিছু নেই। আর এমন চিন্তা-চেতনাই মানুষকে বদলে দিতে পারে।

পড়ালেখা শেষ করে দেশের অনেক যুবকই চাকরি না পেয়ে হতাশায় থাকে। তাই আমরা আগে থেকেই নিজেরা কিছু করতে চাই। উদ্যোক্তা হতে চাই।

tea

তরুণ এ চা বিক্রেতারা বলেন, শখের বসে নয়, প্রোফেশনালিজম থেকেই রাস্তায় চায়ের দোকান দেয়া। অনেক রকমের চা বিক্রি করছি। একদিন এ  (চা খোর) দোকানই ব্র্যান্ডে পরিণত হবে। রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ব্রাঞ্চ হবে। উত্তরা থেকে আগারগাঁওয়ে চা খেতে আসবে চাপ্রেমীরা। চা বিক্রি করে কত টাকা আয় হলো এটা বড় কথা নয় আমাদের দেখে অন্যরাও যেন উদ্যোগী হয়ে বলে ‘চলো নিজেরা কিছু করি’।

নাজমুল বলেন, তিন বন্ধুর জমানো ২০ হাজার টাকা দিয়ে চায়ের দোকান শুরু করেছি। একদিন ভালো কিছু করব ইনশাআল্লাহ। এর আগে বিভিন্ন কোচিং, সামাজিক অনুষ্ঠানে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্য দিতাম, এই চায়ের দোকানের পাশাপাশি ভালো বক্তা হিসেবেও কাজ করতে চাই।

এএস/জেএইচ /এএইচ/আরআইপি

আরও পড়ুন