এমপিদের অসংসদীয় ভাষা বন্ধ হওয়া উচিত : স্পিকার
জাতীয় সংসদের স্পিকার এবং সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, জাতীয় সংসদের ফ্লোরে এমপিদের (সংসদ সদস্য) অসংসদীয় ভাষা বন্ধ হওয়া উচিত। ভাষা প্রয়োগে তাদের আরও বেশি সচেত হওয়া উচিত।
ট্রান্সপারান্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণাপত্র ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ’-এ এমপিদের অশ্লীল ও অসংসদীয় ভাষা প্রয়োগ সংক্রান্ত প্রতিবেদন সম্পর্কে রোববার স্পিকারের মতামত চাওয়া হয়। জাতীয় সংসদের নিজ কার্যালয়ে বসে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি দশম সংসদের সপ্তম থেকে ১৩তম অধিবেশন পর্যন্ত সংসদের বাইরে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিয়ে দুই হাজার ১০১ বার এবং সংসদের ভেতরে ৪৩৩ বার বিভিন্ন কটূক্তি, আক্রমণাত্মক, কটু ও অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করা হয়। যা বিধিসম্মত নয়। ওই প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, ওই সময় স্পিকার নিরব ভূমিকা পালন করেন।
এ বিষয়ে সিপিএ’র (কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন) নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন বলেন, ‘টিআইবি জাতীয় সংসদকে কার্যকর করার জন্য যদি কোনো সুপারিশ করে সেগুলো আমরা অবশ্যই বিবেচনা করব।’
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, ‘মাননীয় সংসদ সদস্যরা তাদের বক্তব্যে কী বলবেন, সেটা একান্তই তাদের বিষয়। যতক্ষণ পর্যন্ত তারা কথা না বলেন ততক্ষণ পর্যন্ত তো বোঝা যায় না তারা কী বলছেন। তবে কার্যপ্রণালীবিধির বাইরে অসংসদীয় ভাষার ব্যবহার হলে অবশ্যই আমরা ইন্টারফেয়ার করি এবং বলি আপনি ২৭০ বিধি অনুসরণ করে বক্তব্য দিন। পরবর্তীতে এক্সপাঞ্জ করার অধিকার তো আমার আছেই। সংসদ অধিবেশন কক্ষে না বললেও আমরা কিন্তু পরবর্তীতে এক্সপাঞ্জ করি। এটা অনেকেই জানেন না।’
‘অনেকে মনে করেন সংসদ অধিবেশন কক্ষে এক্সপাঞ্জ যদি না বলি তাহলে হয়তো এক্সপাঞ্জ হয় না। বিষয়টি কিন্তু সেরকম নয়। আমরা কিন্তু পরেও এটি এক্সপাঞ্জ করি। সেটা করার ক্ষমতা আছে। সেটা করাও হয়। কাজেই সব সময় সেখানে এক্সপাঞ্জ একপাঞ্জ না বললেও এক্সপাঞ্জ হয়’ বলেন স্পিকার।
তিনি আরও বলেন, ‘তারা (সংসদ সদস্যরা) কিভাবে বক্তব্য দেবেন এ ব্যাপারে তাদের আরও সচেতন হতে হবে। তবে আগের তুলনায় এ অবস্থার উন্নতি হয়েছে। এখন কিন্তু ওভাবে অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করা হয় না। একেবারে নিম্নপর্যায়ের গালাগালি এখন আর হয় না।’
স্পিকার বলেন, ‘একজন স্পিকার কার্যপ্রণালীবিধি অনুযায়ী সংসদ চালান। আমার নেয়া ব্যবস্থা সম্পর্কেও আমাকে খুবই সচেতন হতে হয়। আমি যদি আমার নিয়মের মধ্যে থেকে সংসদ না চালাই তাহলে আমি কিন্তু সংসদ সদস্যদের অধিকার খর্ব করব। ক্ষমতার অপব্যবহারের একটা প্রবণতা আমার মধ্যে কিন্তু থাকতে পারে। কারণ অনেকে আমাকে প্রশ্ন করেন, আমি এমপিদের মাইক বন্ধ করি না কেন। মাইক বন্ধ করা, না করার বিবেচনাটি আমাকে নিতে হয় খুবই কেয়ারফুলি। কোনো সংসদ সদস্যের বক্তব্য আমার ব্যক্তিগতভাবে পছন্দ না হলে যদি মাইক বন্ধ করে দেই তাহলে আমি কিন্তু ক্ষমতার অপব্যবহার করলাম। আমি কিন্তু ওই এমপির কথা বলার ক্ষমতার ওপর হস্তক্ষেপ করলাম। তবে ভাষার অপপ্রয়োগ ও অসংসদীয় ভাষা বন্ধ হওয়া উচিত।’
এইচএস/এমএআর/আরআইপি
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ ১৮ বছর পর দেশে ফিরলেন রবিউল, বাবাকে ছুঁয়ে দেখলো তিন সন্তান
- ২ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও প্রতিষ্ঠায় তরুণদের এগিয়ে আসা জরুরি
- ৩ সাবেক মুখ্যসচিব তোফাজ্জলের দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে
- ৪ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে আন্তর্জাতিক ট্যুরিস্ট স্পটে রূপ দিতে চাই
- ৫ সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: জাতীয় নাগরিক কমিটি