আগুন নিভে গেলেও ধোঁয়া বের হচ্ছে
রাজধানীর মহাখালীতে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের কেন্দ্রীয় গুদামের আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও এখনও ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে। ভোর ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবনটিতে আর যেন আগুন লাগে সেজন্য সকাল থেকে পানি দিয়ে যাচ্ছেন। তবে রোববার দুপুর পর্যন্ত ধোঁয়া বের হতে দেখা গেছে।
এর আগে, শনিবার দিবাগত রাতে সাড়ে ১২টার দিকে গুদামটিতে আগুন লাগে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিটের তিন ঘণ্টার প্রচেষ্টায় ভোর ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর থেকে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত গুদামে পানি দিয়ে যাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
রোববার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ডাম্পিংয়ের কাজ করছেন, আর পরিবার পরিকল্পনা অফিদফতরের কর্মকর্তারা ইনভেন্টরির কাজ করছেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার পলাশ চন্দ্র মোদক জাগো নিউজকে জানান, গুদামের ভেতর অনেক ওষুধ ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রয়েছে। ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা এখন ডাম্পিং ও কুলিংয়ের কাজ করছেন। এরপর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হবে।
তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস। আগুনের প্রাথমিক কারণ জানার চেষ্টা করছেন তারা। ঘটনা তদন্তে পৃথক তিনটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সকাল ৭টা থেকে কাজ করছেন ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আনোয়ার হোসেন। তিনি জাগো নিউজকে জানান, শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে মহাখালীতে অবস্থিত পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের কেন্দ্রীয় গুদামে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে প্রথমে ফায়ার সার্ভিসের ৯টি ইউনিট ও পরে আরও ৫টি ইউনিটসহ মোট ১৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। প্রায় তিন ঘণ্টা চেষ্টা চালানোর পর রাত সাড়ে ৩টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তিনি বলেন, আগুনের কারণ আমরা এখনও নিশ্চিত নই। গুদামটিতে পরিবার পরিকল্পনার ওষুধসামগ্রী মজুদ রাখা হয়। আগুন নিভলেও এখনও প্রচণ্ড ধোঁয়া হচ্ছে। তাই আবারও আগুন যাতে উদগিরণ না হয় সেজন্য আমরা পানি দিয়ে যাচ্ছি। তাছাড়া অফিদফতরের কর্মচারীরা পুড়ে যাওয়া ওষুধপত্র সরিয়ে নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের অতিরিক্ত পরিচালক (ড্রাগস অ্যান্ড স্টোরস) মো. হানিফুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, আগুন নিভে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণের চেষ্টা চলছে। বিদ্যুৎ না থাকার কারণে কম্পিউটার থেকে ডাটা বের করা যাচ্ছে না। সময় লাগছে।
জেইউ/বিএ/জেআইএম