ব্যবসায়ী জাকির হত্যার নেপথ্যে তিন কারণ
গেন্ডারিয়ার স্বামীবাগে বাসার সামনে দিন দুপুরে গুলি করে ব্যবসায়ী জাকিরকে হত্যার ঘটনায় পুলিশ এক সপ্তাহেও কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
পুলিশের মতে হত্যার নেপথ্যে তিন কারণ রয়েছে, মাদক বিরোধী অবস্থান, টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব এবং রাজনীতি। এ তিন কারণে খুন হতে পারেন ব্যবসায়ী জাকির।
গেন্ডারিয়া থানা পুলিশ বলছে, হত্যার মোটিভ সম্পর্কে মোটামুটি নিশ্চিত হওয়া গেছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে ঘাতককে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
জানা গেছে, গত ৩০ মার্চ দুপুর সোয়া ১টার দিকে গেন্ডারিয়ার স্বামীবাগের নিজ বাসার সামনে ৪/৫ জন মুখোশধারী গুলিতে নিহত হন ব্যবসায়ী জাকির।
জাকিরের খালাতো বোন মুক্তি বলেন, দোকানের কাছে প্রথমে তিনটি গুলি করেছে। জাকির ভাই তখন দৌড়ে বাসার গলিতে যায়। বাসার গেটের সামনে, পেছন থেকে আরও দুটি গুলি করে মুখোশধারীরা। গুলি করে গলি দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
জাকিরের স্ত্রী সায়মা জাগো নিউজকে বলেন, রাতে ঘুমানোর সময় জাকির প্রায়ই বলতো, শত্রু বেড়ে গেছে। জানি না কখন কী ঘটে যায়। ৭/৮ মাস আগে যখন মাদক ব্যবসায়ী ইমুর লোকজন জাকিরকে মারার জন্য তাড়া করেছিল তখন জিডি করার জন্য বলেছিলাম। জাকির জিডি না করে ঢাকা মহানগর পুলিশকে জানিয়েছিল।
শুক্রবার বিকেলে গেন্ডারিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মিজানুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, হত্যার পেছনে তিনটি মোটিভকে জোরালোভাবে দেখা হচ্ছে। রাজনীতিতে জাকির সক্রিয় না থাকলেও নেপথ্যের কারিগর ছিলেন। বিএনপি সমর্থক টিপু কমিশনারের সঙ্গে তার সখ্যতা ছিল। এছাড়া একটি ঘটনায় সম্প্রতি বড় ধরনের টাকার ভাগবাটোয়ারায় সম্পৃক্ত ছিল জাকির। সেখানে নয় ছয়ের কারণেও খুন হতে পারেন তিনি।
অন্যটি হচ্ছে মাদক। এলাকার মাদক বিরোধী ভূমিকার কারণে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে ছিলেন তিনি। যে কারণে তাকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হতে পারে। এছাড়া ব্যবসায়ীক কারণে বড় ধরনের লেনদেন ছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গেন্ডারিয়া থানার এসআই সাজ্জাদুর রহমান বলেন, হত্যার মোটিভ সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত নই। তবে সম্ভাব্য তিনটি কারণকে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত চলছে। খুব শিগগিরই হত্যাকারীদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
জেইউ/এমআরএম/এএইচ/এমএস