‘ঢাকা ঘোষণা’ দিয়ে শেষ হলো আইপিইউ সম্মেলন
বৈশ্বিক অসমতা দূরীকরণ, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতকরণ ও স্বাধীন কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করাসহ বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা গ্রহণ ও ‘ঢাকা ঘোষণা’র মধ্য দিয়ে শেষ হলো ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের ১৩৬তম সম্মেলন। একইসঙ্গে বৃহৎ এ সম্মেলনের সফল সমাপ্তিতে বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন ফোরামটির সদস্যরা।
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পাঁচ দিনব্যাপী সম্মেলন শুরু হয় গত ১ এপ্রিল (শনিবার)। ওইদিন জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাঁচ দিনব্যাপী এ সম্মেলন আজ (বুধবার) সন্ধ্যায় শেষ হলো।
ঢাকা ঘোষণায় বলা হয়েছে, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বৈষম্য কমাতে, মানবাধিকার সুরক্ষা, আইনি কাঠামো শক্তিশালী এবং বাজেট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে হবে। রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় প্রান্তিক ও ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।
কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশনের (সিপিএ) সভাপতি শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী ও গতিশীল নেতৃত্ব বিশ্ব মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিতে পেরেছে বলেই এতো বড় একটি অনুষ্ঠানের সফল আয়োজন সম্ভব হয়েছে। যে অনুষ্ঠানে বিশ্বের ১৩২টি দেশের ১ হাজার ৩৪৮ জন আইপিইউ সদস্য অংশগ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা, স্বাস্থ্য ও শিক্ষাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পাঁচ দিনব্যাপী আইপিইউ সম্মেলনে আলোচনা হয়েছে। গণতন্ত্রে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে হবে। এবারের সম্মেলনে নেয়া পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়নে উদ্যোগী হলে আমরা লক্ষ্য অর্জন করতে পারব।
এক প্রশ্নের জবাবে স্পিকার বলেন, সম্মেলন কেন্দ্রের পাশেই আইপিইউ মেলার আয়োজনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে উপস্থাপন করতে পেরেছি। এটাও আইপিইউ সম্মেলন থেকে বাংলাদেশের একটি প্রাপ্তি।
সম্মেলন-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে আইপিইউ প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, দেশের ইতিহাসের সর্ববৃহৎ এ আয়োজন সুষ্ঠু ও সফলভাবে করতে পারায় প্রশংসিত হয়েছি। এখান থেকে যেসব প্রতিনিধি ফেরত গেছেন, তারা এখন নিজ নিজ দেশে গিয়ে ‘ঢাকা ঘোষণা’বাস্তবায়নে নিজেদের পার্লামেন্টকে অন্তর্ভুক্ত করবেন।
তিনি জানান, এ সম্মেলনের মাধ্যমে জাতি হিসেবে নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। দেশ যে উন্নয়নের পথে এগিয়েছে তা নিয়ে অনেকে অনেক কথা বলেন। বাস্তবে এসে বিশ্ব প্রতিনিধিরা দেখে গেলেন মৌলিক পরিবর্তন হয়েছে।
আইপিইউ’র সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগং বলেন, এ সম্মেলনের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের মধ্যে পার্থক্য কমে আসবে। সহযোগিতার মনোভাব দেখাতে হবে। ঢাকা ভাগ্যবান শহর। কোনো ধরনের বিরোধিতা ছাড়াই আমাকে আরও চার বছরের জন্য পুনর্নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
এইচএস/আরএস/এএইচ/এমএস