আমরা তো একের পর এক অধিকার আদায় করছি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের ক্ষতি হবে এমন কাজ আমাদের দ্বারা হবে না। অনেকে অনেক কথা বলবে। কিন্তু আমাদের একটা বিবেক আছে।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চামেলী হলে বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতির উদ্যোগে বাস্তবায়নাধীন পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটির প্লটের বরাদ্দপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
গঙ্গার পানি চুক্তি নিয়ে বিএনপির সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় থাকতে এ চুক্তির কথা একবারের জন্য ভারতের কাছে তুলে ধরেছেন? সাহসই পাননি। এরপর জেনারেল এরশাদ ক্ষমতায়, তিনিও কোনো দিন তোলেননি। তাহলে দালালিটা কে করেছে? নিজেরা করতে পারবে না। আবার অন্যরা করতে গেলে শর্ত দেবে, এটা হয় না।
ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রেখেই মামলা করে সমুদ্রসীমা নির্ধারণের বিষয়টি তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা তো একের পর এক অধিকার আদায় করে নিচ্ছি। যাদের দায়িত্ব নেই, তারাই কথা বলে বেশি।
এদিকে চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের বিষয়গুলো আগেই জানানোর দাবি তুলেছে বিএনপি। দলটি বলছে, ভারতের সঙ্গে দেশের স্বার্থহানিকর চুক্তি হলে তা মেনে নেয়া হবে না। বিএনপির ওই বক্তব্যের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, দেশ বেঁচে দেবে, কি চুক্তি করবে, এ চুক্তি হলে মানব ওই চুক্তি হলে মানব না। এসব কথা যারা বলে, কে তারা? কী মানল না মানল, তাতে কার কী আসে যায়?
১৯৯৬ সালে গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি এবং তার আগে মুজিব-ইন্দিরা চুক্তি নিয়ে বিএনপির সমালোচনার কথাও বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি নিয়ে তিনি বলেন, এক সময় বিএনপি নেতারা এটাকে গোলামির চুক্তি বলত। তারপর দেখা গেল, সেই চুক্তি বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ লাভবান। গোলামী না বরং অনেক জমি ও অনেক কিছু বাঙালিরা পেয়েছে। তিনি আরও বলেন, ১৯৭৪ সালে স্বাক্ষরিত স্থলসীমান্ত চুক্তির আওতায় দুই দেশের ছিটমহল সমস্যার সমাধান ঘটেছে আওয়ামী লীগের এ আমলে। বঙ্গবন্ধু সরকার আমলে ওই চুক্তির পর বাংলাদেশের কোনো সরকারই স্থল সীমান্ত সমস্যার সমাধানে অগ্রসর হয়নি।
জঙ্গি দমনে পুলিশের ভূমিকার প্রশংসা করে এ বাহিনীর অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তোলার সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর বিরামহীন কাজের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, আমার খারাপ লাগে এই যে দিনরাত পরিশ্রম করা, সবসময় একটা চাপ মাথায় নিয়ে কাজ করা। কোথায় প্রশংসা করবে, সাধুবাদ দেবে, উৎসাহ দেবে, তা না করে এটা হলো না কেন, ওটা হলো কেন? নানা জ্ঞান ছড়াতে থাকে। যাদের দায়িত্ব নেই তারা অনেক কিছুই বলতে পারে।
জঙ্গি দমনে বাংলাদেশের পুলিশ উন্নত দেশগুলোর চেয়ে বেশি সফলতা দেখিয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলোতে কখনও দেখলাম না, ঘটনা ঘটার আগে সন্ত্রাসীদের ধরেছে। এ দৃষ্টান্ত শুধু আমরা বাংলাদেশে দেখতে পেরেছি।
এফএইচএস/আরএস/ওআর/এমএস
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - জাতীয়
- ১ ১৮ বছর পর দেশে ফিরলেন রবিউল, বাবাকে ছুঁয়ে দেখলো তিন সন্তান
- ২ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও প্রতিষ্ঠায় তরুণদের এগিয়ে আসা জরুরি
- ৩ সাবেক মুখ্যসচিব তোফাজ্জলের দুর্নীতির প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে
- ৪ পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতকে আন্তর্জাতিক ট্যুরিস্ট স্পটে রূপ দিতে চাই
- ৫ সচিবালয়ে অগ্নিকাণ্ড পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র: জাতীয় নাগরিক কমিটি