সরকারি চাকরিজীবীদের আবাসন নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
সব পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য আবাসন নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। যাতে সবাই পরিবার নিয়ে এক সঙ্গে থাকতে পারে।
মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে তিনি এ নির্দেশনা দেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন একনেক চেয়ারপারসন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে ‘চট্টগ্রাম শহরে পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমেটরি নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রকল্প অনুমোদনের সময় প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।
বৈঠক শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানান, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য পর্যায়ক্রমে শতভাগ আবাসন সুবিধা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। একই সঙ্গে পরিত্যক্ত সরকারি সম্পত্তি বেদখল যাতে না হয় সে বিষয়েও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলেছেন তিনি।
বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পরিত্যক্ত বাড়িতে সরকারি আবাসিক ফ্ল্যাট ও ডরমেটরি নির্মাণ প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, চট্টগ্রাম শহরের পাঁচলাইশ, নাসিরাবাদ, কাতালগঞ্জ ও আর নিজাম রোড, জাকির হোসেন রোড ও সার্সন রোডের পরিত্যক্ত সরকারি বাড়িগুলোতে এসব নতুন ভবন তৈরি করা হবে।
‘এসব সরকারি পরিত্যক্ত বাড়ি মোট ১৫টি ভবনে ৫১৯টি ফ্ল্যাট ও ৮০ কক্ষবিশিষ্ট একটি ডরমেটরি নির্মাণ করা হবে। এসব ভবন নির্মাণে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৭৬ কোটি ৬১ লাখ টাকা।’
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামে সরকারি চাকরিজীবীদের আবাসন সমস্যা অত্যন্ত প্রকট। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অধীনে আবাসন পরিদফতর চাহিদা অনুযায়ী আবাসন সমস্যা সমাধান করতে পারছে না। ফলে বাধ্য হয়ে অধিকাংশ সরকারি চাকরিজীবী ব্যক্তি মালিকানাধীন ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছেন। এতে তাদের বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সন্মুখীন হতে হয়, যা তাদের কর্মদক্ষতাকে কমিয়ে দিচ্ছে।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম শহরে ২৬ হাজার ৭৮ জন সরকারি চাকরিজীবী রয়েছেন। এর মধ্যে মাত্র ১ হাজার ৯৭৩ জনকে সরকারি কোয়ার্টার দেয়া সম্ভব হয়েছে। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে সঙ্কট সমাধান সম্ভব।’
এমএ/এমএমএ/এএইচ/এমএস