বাংলাদেশের ‘স্মৃতি’ কিনেছেন বিদেশিরা
ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) ১৩৬তম সম্মেলনে যোগ দেয়া অনেক অতিথি নিজেদের স্মৃতি কিনে রাখছেন। তাদের প্রত্যেক ‘স্মৃতি’র জন্য এক ডলার গুনতে হচ্ছে। কেউ আবার ‘ছাপানো’ নয় সফট কপি স্মৃতি নিচ্ছেন। যাতে ফেসবুক ও টুইটারসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দিতে সুবিধা হয়।
বাংলাদেশের ইতিহাসে বৃহৎ সম্মেলন শুরু হয়েছে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। এতে বিশ্বের ১৩৪টি দেশ থেকে ১৫ শতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন। সংসদ সদস্যদের সবচেয়ে বড় এই ফোরামটির সম্মেলন নিখুঁত করতে যাবতীয় ব্যবস্থা নিয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ ও আইপিইউ।
প্রতিদিন নানা সেশনে, সংসদ, নারী, মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা চলছে। কেউ কেউ সেই সব স্মৃতি ধরে রাখছেন স্মার্টফোনে। কিন্তু মোবাইলে তোলা ছবি কি ডিএসএলআরের মতো হয়? তাইতো অত্যাধুনিক ডিসিএলআরে ছবি তুলে তখনই বিক্রির ব্যবস্থা করেছে নিউ লাভা ভিডিও অ্যান্ড ফটোগ্রাফি। ম্যাট পেপারে প্রিন্ট করা ছবিগুলো কিনছেনও অনেকে।
সোমবার প্রতিষ্ঠানটির চিফ এক্সিকিউটিভ আবু হানিফ বাবুল জাগো নিউজকে বলেন, ছবি বিক্রির সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। প্রথম দিন রোববার বিক্রি খুব কম হয়েছে। অনেকে আবার মজা করে ফ্রি চাইছেন।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন দেশের ভিভিআইপিদের সঙ্গে তোলা অন্য ব্যক্তিদের ছবি বেশি বিক্রি হচ্ছে। অনলাইনের মাধ্যমে ভিভিআইপিদের ছবি ও বিস্তারিত জানি। এরপর তাদের সঙ্গে অন্য ব্যক্তিদের কুশলবিনিময়, আলোচনাসহ বিভিন্ন ছবি তুলে রাখি। পরে অনেকেই এসে কিনে নিয়ে যান। এছাড়া আমাদের ডেকে নিয়েও ছবি তুলছেন অনেকে।
জানা যায়, সেখানে চারজন ব্যক্তি বিভিন্ন ইভেন্টের ছবি তুলছেন। সঙ্গে সঙ্গে তা প্রিন্ট করে ডেস্কে রাখছেন। অনেকে নিজেকে দেখে কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। সেখানে গভীর মনোযোগের সঙ্গে মেক্সিকোর এমপি ভারগাস বারসেনা নিজের ছবি খুঁজছিলেন। পরে নিজের ছবি খুঁজে পান তিনি। উদ্যোগটা ভালো হলেও দাম বেশি বলে জাগো নিউজকে জানান তিনি।
যুক্তরাজ্যের এমপি এন ইভানস বেশ কয়েকটি নিজের ছবি কেনার পর জানান, বাংলাদেশে স্মৃতি নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। এই দেশটা তেমন উন্নত না হলেও মানুষের মন খুবই নরম আর অতিথিপরায়ন।
অর্থনৈতিক, সামাজিক ও অবিচার দূর করে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে আইপিইউ ১৩৬তম সম্মেলন শুরু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর উদ্বোধন করেন। রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এর কার্যক্রম চলবে ৫ এপ্রিল পর্যন্ত ।
এইচএস/জেএইচ/পিআর