সন্ত্রাস মোকাবেলায় সংসদের সক্ষমতা বাড়াতে চায় আইপিইউ
ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন (আইপিইউ) সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুংগং বলেছেন, ‘বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদকে রুখতে বিভিন্ন দেশের সংসদের সক্ষমতা বাড়ানোর কৌশল গ্রহণ করা হবে। স্থিতিশীল বিশ্ব ও শান্তির জন্য সন্ত্রাসবাদ সবচেয়ে বড় হুমকি। কোনো দেশই এ হুমকির বাইরে নয়। এ জন্য আমাদের একটি বৈশ্বিক সমাধান প্রয়োজন।’
সোমবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকায় শুরু হওয়া পাঁচ দিনব্যাপী আইপিইউ সম্মেলন শেষে এ বিষয়ে ঘোষণা আসবে বলে জানান তিনি। মঙ্গলবার আইপিইউর নির্বাহী কমিটিতে এসব বিষয় অবহিত করবেন বলেও জানান মার্টিন। বিশ্বের সবচেয়ে বড় সংসদীয় এ ফোরামটির নেতা বলেন, হতাশা, সামাজিক অসমতা, অবিচার, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং সুযোগের অভাব থেকে জন্ম নেয় সহিংস সন্ত্রাসবাদ । সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মোকাবেলার কৌশলে আমরা এ বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করব।
তিনি আরও বলেন, যে কৌশলটা প্রস্তাব করা হবে, সেখানে অনেকগুলো কার্যক্রম অন্তর্ভুক্ত করা হবে, যা সন্ত্রাসবাদ সৃষ্টির কারণগুলোকে রুখতে গ্লোবাল পার্লামেন্টারি কমিউনিটিকে সাহায্য করবে। তিনি বলেন, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ সকল ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বৈষম্য দূর করতে এবং মানবিক মর্যাদা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় পার্লামেন্ট কিভাবে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পারে, খসড়া প্রস্তাবে সে বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে।
মার্টিন বলেন, স্থিতিশীল বিশ্ব ও শান্তির জন্য সন্ত্রাসবাদ সবচেয়ে বড় হুমকি। কোনো দেশই এ হুমকির বাইরে নয়। এ জন্য আমাদের একটি বৈশ্বিক সমাধান প্রয়োজন। কিছু ঘটে যাওয়ার আগেই সন্ত্রাসবাদ তৈরির কারণগুলোকে চিহ্নিত করে নির্মূল করতে হবে।
এর আগে সোমবার সকালে সম্মেলনের তৃতীয় দিনে ‘স্ট্যান্ডিং কমিটি অন পিস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটি’শীর্ষক আলোচনায় এ বিষয়ে মতামত দেন অধিকাংশ দেশের সদস্যরা। স্ট্যান্ডিং কমিটি অন পিস অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটির আলোচনায় বাংলাদেশ ডেলিগেশন টিমের প্রধান ছিলেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ডা. দীপু মনি।
অর্থনেতিক, সামাজিক ও অবিচার দূর করে সমাজে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে ঢাকায় ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) ১৩৬তম সম্মেলন শুরু হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন।
এইচএস/আরএস/ওআর/এমএস