জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে চলচ্চিত্র
চলচ্চিত্র জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা ও স্বপ্নের প্রতিফলন ঘটিয়ে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (৩ এপ্রিল) জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস। এ উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে তিনি এ আশা ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম। চলচ্চিত্র যুগ যুগ ধরে মানুষের চিত্তবিনোদনের একটি মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। চলচ্চিত্রে মানুষের জীবন সংগ্রাম ও সমাজ বাস্তবতার চিত্র প্রতিফলিত হয়। দেশের ইতিহাস, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি বিকাশের পাশাপাশি শিক্ষা বিস্তার, জাতি গঠন ও সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে চলচ্চিত্র শক্তিশালী ভূমিকা রেখে চলেছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তদানীন্তন প্রাদেশিক আইন পরিষদে ‘চলচ্চিত্র উন্নয়ন সংস্থা বিল’ উত্থাপন করেন এবং ওইদিনই বিলটি আইনে পরিণত হয়। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি)। ২০১২ সাল থেকে প্রতি বছর ৩ এপ্রিলকে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস হিসেবে উদযাপন করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার গত আট বছরে চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। চলচ্চিত্রকে শিল্প ঘোষণা করা হয়েছে। চলচ্চিত্র প্রযোজক পরিবেশকরা কর রেয়াতসহ নানাবিধ সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রী বাণীতে আরও বলেন, নান্দনিক চলচ্চিত্র নির্মাণের লক্ষ্যে চলচ্চিত্রের জন্য নিয়মিত অনুদান দেয়া হচ্ছে। আমরা চলচ্চিত্র শিল্পে মেধাবী ও সুদক্ষ কর্মী সৃষ্টির জন্য ফিল্ম ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিনির্ভর ডিজিটাল চলচ্চিত্র নির্মাণের লক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। বিএফডিসির আধুনিকায়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে এফডিসিকে ডিজিটাল যন্ত্রপাতিতে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। গাজীপুরের কবিরপুরে ১০৫ একর জমিতে বঙ্গবন্ধু ফিল্ম সিটি নির্মাণের কাজ চলছে।
তিনি বলেন, জাতীয় চলচ্চিত্র নীতিমালা প্রণয়ন করা হচ্ছে এবং আধুনিক ও ডিজিটাল সিনেমা হল নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। আমরা অসচ্ছল চলচ্চিত্র শিল্পী ও কলাকুশলীদের আর্থিক সাহায্য প্রদান ও চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করছি। চলচ্চিত্র এখন রফতানিযোগ্য পণ্য হিসেবেও স্বীকৃতি পেয়েছে।
চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আমাদের সংস্কৃতি এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার প্রতিফলন ঘটিয়ে জীবন ঘনিষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাণ করে দর্শকদের মন জয় করতে হবে বলেও জানান তিনি।
এছাড়া জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস ২০১৭ উদযাপন উপলক্ষে চলচ্চিত্র শিল্পী, কলাকুশলী, নির্মাতা, পরিচালক, প্রযোজক-পরিবেশক, দর্শকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও জাতীয় চলচ্চিত্র দিবসের সর্বাঙ্গীন সাফল্য কামনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
এফএইচএস/আরএস/এএইচ/এমএস