আন্তঃদেশীয় অপরাধের ব্যাপকতা বেড়েছে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ‘আন্তঃদেশীয় অপরাধের আকার ও ব্যাপকতা বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি এখন শুধু কোনো দেশীয় অপরাধ নয়। এটি সকল দেশের সমস্যা। তাই সার্কের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোর পুলিশ সদস্যদের নিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে।’
রোববার রাজধানীর মিরপুরে পুলিশ স্টাফ কলেজে ‘আন্তঃদেশীয় অপরাধ : সার্ক প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশের মানবপাচারকারীদের দেখেছেন। তারা ক্রাইম (অপরাধ) করে বর্ডার এলাকা দিয়ে পালিয়ে যায়। যারা এ কোর্সে অংশ নিচ্ছেন তাদের মধ্যে নলেজ ও ইনফরমেশন শেয়ারিং (জ্ঞান ও তথ্যের বিনিময়) হবে। যা সব দেশেরই ল ও ইনফোর্স এজেন্সির (আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী) কাজে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের আরো ভালো ও দক্ষ পুলিশ কর্মকর্তা প্রয়োজন। যারা জনগণের সঙ্গে সুবিচার করবেন। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা এবং সমাজের স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে সক্ষম হবেন।’
কেন দেশে দায়িত্বশীল ও ভালো পুলিশ কর্মকর্তা দরকার- এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘শেখার ও জানার কোনো শেষ নেই। আমাদের দেশের পুলিশ অনেক দক্ষ ও দায়িত্বশীল। তবে আমাদের আরো দক্ষ, ভালো ও দায়িত্বশীল পুলিশ কর্মকর্তা দরকার। যে কারণে আন্তঃদেশীয় অপরাধ দমনে এমন প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করা হয়েছে।’
সম্প্রতি জঙ্গি আস্তানায় ব্যবহৃত বিস্ফোরক বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছে, নাকি দেশের ভেতর থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘জঙ্গি আস্তানায় ব্যবহৃত বিস্ফোরক জঙ্গিরা দেশ থেকেই সংগ্রহ করেছে। এসব বিদেশ থেকে আনার প্রয়োজন হয় না। দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্নভাবে তা সংগ্রহ করে জঙ্গিরা।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক, অতিরিক্ত আইজিপি ইব্রাহিম ফাতেমী, র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। সভাপতিত্ব করেন পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টর সাদিকুর রহমান।
দুই সপ্তাহব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সে সার্কের সদস্য দেশ বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, ভুটান, ভারত ও শ্রীলঙ্কার পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ১৮ পুলিশ কর্মকর্তা অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশের ১০ জন, মালদ্বীপের দু’জন, ভুটানের দু’জন, ভারতের দু’জন এবং শ্রীলঙ্কার দু’জন রয়েছেন।
জেইউ/বিএ/এমএআর/পিআর