ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

রাজধানীতে ইয়াবা তৈরির যন্ত্রপাতিসহ আটক ৪

প্রকাশিত: ০৯:৪০ এএম, ২৫ আগস্ট ২০১৪

রাজধানীর খিলগাঁও থেকে বিপুল পরিমাণে ইয়াবা তৈরির যন্ত্রপাতি ও একটি বিলাস বহুল গাড়িসহ চারজনকে গ্রেফতার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ বিফ্রিংয়ে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর এ তথ্য জানান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- আব্দুল্লাহ জুবায়ের (২৮), আইয়ুব আলী (৪৫), শামসুল আলম (২৪) ও মোস্তাকিন হোসন ওরফে সানি (৩২)।  

জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর বলেন, এ চক্রটি প্রতি মাসে টেকনাফ থেকে তিন থেকে চারটি ইয়াবার চালান ঢাকায় নিয়ে আসে। আর প্রতিটি চালানে প্রায় ৫০ হাজার করে ইয়াবা থাকে। কয়েক মাস আগে তারা সিদ্ধান্ত নেয় দেশেই ইয়াবা তৈরি করবে। তাই মিয়ানমার থেকে ইয়াবা তৈরির যন্ত্রাংশ নিয়ে আসে ঢাকায়। তারা চেয়েছিল মিয়ানমার থেকে কাঁচামাল আমদানি করে দেশেই ইয়াবা তৈরি করবে। প্রাথমিকভাবে তারা ইয়াবা তৈরিও করেছে। এতে কম খরচে বেশি লাভ হয় বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা জানিয়েছেন।

উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, ইয়াবার কাঁচামাল সাদা রংয়ের। তাই হয়তো তারা ধারণা করছিল ময়দা বা আটা বলে তা সহজেই বহন করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিতে পারবে। তাই তারা দেশে ইয়াবা তৈরি করার পরিকল্পনা করছিল।

তিনি আরো বলেন, গোয়েন্দাদের কাছে আগেই এই তথ্য ছিল। তথ্যানুযায়ী গোয়েন্দা পুলিশ খিলগাঁওয়ের খিদমাহ হসপিটাল প্রাইভেট লিমিটেড এর সামনে অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে মাদক ব্যবসায়ীদের ব্যবহৃত বিলাস বহুল গাড়িটি ডিবি আটক করে। এসময় গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫৫ হাজার ইয়াবা, ইয়াবা তৈরির যন্ত্রাংশ এবং চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত জুবায়ের এই চক্রের প্রধান। এ সময় মুরাদ নামের আরেক মাদক ব্যবসায়ী পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।

তিনি আরও বলেন, আজকের পর থেকে ডিএমপির প্রতিটি ইউনিটে বিলাসবহুল গাড়িগুলোকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে আনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জাহাঙ্গীর হোসেন মাতুব্বর জানান, মিয়ানমার থেকে প্রতি পিচ ইয়াবা ১৩০ টাকা দরে কিনে বাংলাদেশে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি করে মাদক ব্যবসায়ীরা। পাইকারি বিক্রেতারা প্রতি পিচ ইয়াবা থেকে ৫০ টাকা করে লাভ করে।

সংবাদ বিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন- উপ-পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) মাসুদুর রহমান ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার সাইদুর রহমান।