ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

‘জঙ্গিবাদকে শুধু সামরিকভাবে মোকাবিলা করা ঠিক হবে না’

প্রকাশিত: ০৬:০৬ এএম, ৩১ মার্চ ২০১৭

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের আইনসভার সংগঠন ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) প্রেসিডেন্ট সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ আজ বৈশ্বিক সমস্যা। শুধু সামরিকভাবে জঙ্গিবাদকে মোকাবিলা করা ঠিক হবে না। আসন্ন আইপিইউ সম্মেলনে এ দিকে দৃষ্টি দিতে চাই।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আইপিইউ সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। এসময় জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএর চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও আইপিইউয়ের সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুনগুং উপস্থিত ছিলেন।

সাবের বলেন, জঙ্গিবাদের মূল কারণগুলো কী? অর্থাৎ শুধু আমরা জঙ্গিবাদের লক্ষণের দিকে তাকাবো না, এটা কেন হচ্ছে সেই জায়গায় আমরা দৃষ্টি দিতে চাই। সেখানে সংসদে কী ভূমিকা থাকবে, এমপিদের ভূমিকা কী হবে, সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করব। জঙ্গিবাদের ক্ষেত্রে সরকার যা করছে তা তো আছেই, সেইসঙ্গে সংসদ সদস্য হিসেবে আমরা কী করতে পারি আইপিইউ সম্মেলনে সেই কৌশল আলোচনার মাধ্যমে স্থির করতে হবে। কমিটিতে এনিয়ে যে আলোচনা হবে তা পরবর্তীতে সেটা আমাদের কাউন্সিলে যাবে। এটি আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের অর্জন সম্পর্কে একটি প্রশ্ন এসেছে, এ ধরনের একটি আয়োজনের মাধ্যমে এদেশে গ্লোবাল পার্লামেন্টারি কমিটির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করছে। এই অ্যাসেম্বলির মাধ্যমে বাংলাদেশকে ব্র্যান্ড করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে আমাদের কূটনৈতিক বিষয়টি আরও জোরালো হবে।

এই অ্যাসেম্বলিতে কি গণহত্যা নিয়ে আলোচনা হবে?- এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি আমাদের এমপিদের আলোচনার উপর নির্ভর করে। আমি আশা করি এমপিরা এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করবে। এটার সুযোগ আছে।

তিনি জানান, এই সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের ৪৫ জন স্পিকার ও ৩৭ জন ডেপুটি স্পিকার অংশ নেবেন। ৮২ জন স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার বাংলাদেশে আসছেন। ১৩১ দেশের এমপিরা সম্মেলনে অংশ নেবেন। আর অংশগ্রহণকারী সহযোগী সংস্থা হলো ৪২টি। সংসদ সদস্য হলেন ৬৮৭ জন। ২০৯ জন নারী সদস্য নিয়ে মোট ১ হাজার ৩৫৫ জন অংশ নেবেন।

সাবের হোসেন বলেন, এই সম্মেলন চলাকালীন সময় আমাদের দেশে এইচএসসি পরীক্ষা হচ্ছে। এ কারণে এপ্রিলের ২ ও ৪ তারিখে সকাল ৮টা থেকে ১০ পর্যন্ত সব ভিআইপিদের সব ধরনের চলাচল বন্ধ থাকবে।

আইপিইউয়ের সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন চুনগুং বলেন, সমাজে অসাম্য ও অবিচারের কারণে সন্ত্রাসবাদ ও উগ্রবাদের সৃষ্টি হয়। এই অসাম্য তৈরি হয় রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক দিক দিয়ে। আমাদের সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো তা দূর করা।

শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান উন্নয়ন, গণতন্ত্রের সফল অভিযাত্রা ও সুদূরপ্রসারী উন্নত, সমৃদ্ধ ভবিষ্যত বিনির্মাণে বাংলাদেশ অপার সম্ভাবনাগুলো আমরা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলের সামনে  এ সম্মেলনের মাধ্যমে তুলে ধরতে চাই।  এই সম্মেলনের সফল আয়োজন বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় এক অনন্য মাইলফলক।

বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ ও আইপিইউয়ের যৌথ উদ্যোগে আগামী ১ থেকে ৫ এপ্রিল প্রথমবারের মতো ঢাকায় এই ১৩৬তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজক দেশের স্পিকার হিসেবে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সম্মেলনের প্রেসিডেন্ট থাকবেন। ‘এবারের সম্মেলনের থিম বা মূল প্রতিপাদ্য হলো, ‘সমাজের বৈষম্য নিরসনের মাধ্যমে সবার মর্যাদা ও মঙ্গল সাধন’।

এইচএস/জেডএ/এমএস

আরও পড়ুন