দুই বছরেও শেষ হয়নি ব্লগার ওয়াশিকুর হত্যার বিচার
দুই বছর আগে এই দিনে ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবুকে হত্যা করেন আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের সদস্যরা। ওই হত্যাকাণ্ডের দুই বছর পার হলেও এখনও শেষ হয়নি আলোচিত হত্যা মামলাটির বিচার কার্যক্রম।
এদিকে, ওই মামলায় সাক্ষী দেওয়ার জন্য মামলার বাদী ব্লগার ওয়াশিকুরের ভগ্নিপতি মনির হোসেনকে খুঁজে পাচ্ছে না রাষ্ট্রপক্ষ। তিনি সাক্ষী না দিলে ন্যায়বিচারে কিছুটা বিঘ্ন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সালাউদ্দিন হাওলাদার বলেন, ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু হত্যা মামলাটি গুরুত্ব সহকারে সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেওয়া হচ্ছে। মামলার বাদীকে সাক্ষী দেওয়ার জন্য বার বার সমন জারি করার পরও তাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তিনি সাক্ষ্য না দিলে ন্যায়বিচার পেতে কিছুটা বিঘ্ন হতে পারে।
মামলাটি বর্তমানে ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা আদালতে বিচারাধীন রয়েছেন। এরইমধ্যে মামলার ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে মাত্র ১৬ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ি দীপিকার ঢাল এলাকায় বাসা থেকে বের হয়ে অফিসে যাওয়ার পথে খুন হন ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু।
এর পরপরই জনতার সহায়তায় পুলিশ জিকরুল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম নামে দুই মাদ্রাসাছাত্রকে আটক করেন। এ সময় তাদের কাছ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত তিনটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়।
ফেসবুক ও ব্লগসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম নিয়ে লেখালেখির কারণে ওয়াশিকুরকে হত্যা করা হয়েছে বলে জিকরুল্লাহ ও আরিফুল স্বীকার করেছেন।
পরে ওই হত্যা মামলায় আটক জিকরুল্লাহ ও আরিফুল ইসলামসহ চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনকে আসামি করে ওই রাতেই তেজগাঁও থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন ওয়াশিকুরের ভগ্নিপতি মনির হোসেন। পরে আটকদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
এরপর একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ আনসারুল্লাহ বাংলাটিমের ৫ সদস্য জিকরুল্লাহ, আরিফুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, হাসিব আব্দুল্লাহ (পলাতক) ও আবু তাহের জুনায়েদের (পলাতক) বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২০১৬ সালের ২০ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এসএম জিয়াউর রহমান।
জেএ/এসআর/পিআর