ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

নান্দনিকভাবে সাজানো হবে কুড়িল-পূর্বাচলের খাল

প্রকাশিত: ১০:১৭ পিএম, ২৯ মার্চ ২০১৭

রাজধানীর কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত ৩০০ ফুট রাস্তার দুই পাশে ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন করা হবে। এর ফলে নিকুঞ্জ, জোয়ার সাহারা, ডিওএইচএস, ঢাকা সেনানিবাস, বিমানবন্দর, কালাচাঁদপুর, কুড়িল ও কুড়াবাড়ির জলাবদ্ধতা দূর করা সম্ভব হবে। বর্ষা মৌসুমে এসব এলাকায় বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।

বুধবার এ খাল খননের বিষয়ে অবহিতকরণ ও ক্ষতিগ্রস্ত জমির মালিকদের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এসব কথা বলেন।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, এটি নিছক কোনো খাল নয়। এ খাল খনন শেষ হলে ঢাকা শহরের একটি উল্লেখযোগ্য অংশের জলাবদ্ধতা দূর হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ খালকে নান্দনিকভাবে সাজানো হবে এবং নগরবাসীর জন্য স্বস্তিকর একটি কেন্দ্রে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, পূর্বাচলকে ঘিরে এ এলাকার ব্যাপক উন্নয়ন ঘটছে। পূর্বাচল হবে দেশের প্রথম স্মার্টসিটি। এখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনাসহ সব ইউটিলিটি সেবাকে আধুনিক পদ্ধতিতে গড়ে তোলা হচ্ছে। সবধরনের ইউটিলিটি সার্ভিস ডাকটিং পদ্ধতিতে মাটির নিচে থাকবে। অনিয়মের মাধ্যমে পূর্বাচলে যেসব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে তা অবশ্যই অবসারণ করা হবে।

পূর্বাচল ১৪ নম্বর সেক্টরে ২০২ নম্বর সড়কে রাজউক ও প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ২৪ জন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিকে ১০০ কোটি টাকার চেক প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ১৩ দশমিক ৬৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এ খালের সঙ্গে ১৩ কিলোমিটার সার্ভিস রোড, ৩৯ কিলোমিটার পায়ে হাঁটার পথ, চারটি ইউলুপ, ১৩টি আর্চ ব্রিজ, ১৬টি পথচারী ব্রিজ, ১৩ কিলোমিটার সীমানা প্রাচীর, পাঁচটি স্লুইসগেট ও অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এ জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ২৮৬ কোটি ৯১ লাখ টাকা।

এ খাল খননের জন্য প্রায় ৯০ একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। জমি অধিগ্রহণে ১২০০ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ক্ষতিপূরণ বাবদ ব্যয় হবে প্রায় ৪ হজার ৩০০ কোটি টাকা। প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সময় লাগবে দুই বছর। সরকারি অর্থায়নে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের এ প্রকল্প বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে।

গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকারের সভাপতিত্ব অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হক, রাজউক চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী, সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল নিজাম উদ্দীন ও ঢাকার জেলা প্রশাসক মো. সালাহউদ্দীন।

এমএসএস/বিএ