ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করছে সরকার : স্পিকার

প্রকাশিত: ০১:৪৭ পিএম, ২৮ মার্চ ২০১৭

জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ’র (কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি অ্যাসোসিয়েশন) নির্বাহী কমিটির চেয়ারপারসন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, ‘বর্তমান সরকার দেশের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। ফলে আর্থসামাজিক সূচকে বাংলাদেশ দ্রুত উন্নতি লাভ করছে। বাংলাদেশের নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন এখন দৃশ্যমান।’

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ কার্যালয়ে ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্য আর্নে লিৎজের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ মন্তব্য করেন।

প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের সংসদীয় কার্যক্রম, নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন, স্বাস্থ্য খাতে বাংলাদেশের উন্নয়ন, সামাজিক নিরাপত্তা এবং বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন।

স্পিকার প্রতিনিধি দলকে বলেন, ‘নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প। এখাতে নিয়োজিত শ্রমিকের অধিকাংশই নারী। তাদের সন্তানদের সুন্দর শৈশব নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে সরকার ডে কেয়ার সেন্টার ও ডরমেটরি তৈরি, মাতৃত্বকালীন ছুটি, কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা তহবিলসহ বহুবিধ সুবিধা নিশ্চিত করেছে।’

স্পিকার বলেন, ‘বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে ৩৫০ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে ৩০০ জন এবং সংরক্ষিত আসনে ৫০ জন নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দশম জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, স্পিকারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে নারীরা সাফল্যের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। সংসদীয় কার্যক্রম স্বচ্ছ ও জবাবদিহি করার লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সংসদীয় স্থায়ী কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং মন্ত্রীর পরিবর্তে একজন সংসদ সদস্যকে কমিটির সভাপতি নিযুক্ত করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দারিদ্র্যের হার কমিয়ে আনতে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এছাড়া একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প এবং পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক গঠন করেছে, যা নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের পাশাপাশি দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখছে।

প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পে নিয়োজিত শ্রমিকদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় তারা তৈরি পোশাক শিল্পকে বাংলাদেশে উদীয়মান একটি সেক্টর হিসেবে আখ্যায়িত করেন।

সাক্ষাৎকারে তারা ইইউ ও বাংলাদেশের পারস্পরিক সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরো সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এইচএস/এমএআর/আরআইপি

আরও পড়ুন