ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

ফরাসি ভাষায় বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী

প্রকাশিত: ০৩:১০ এএম, ২৭ মার্চ ২০১৭

বাংলাদেশের ৪৭তম স্বাধীনতা দিবস ও বাংলাদেশ-ফ্রান্স কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৫তম বার্ষিকীতে প্যারিস থেকে ফরাসি ভাষায় প্রকাশ করা হলো জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী।

২৬ মার্চ রোববার ফ্রান্সের সর্ববৃহৎ বইমেলা ‘সালোন লিভর প্যারিস’-এ আনা হয় বইটি। গত ২৪ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ বইমেলা চলবে ২৭ মার্চ পর্যন্ত।

ফরাসি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘জিংকো এডিটর’ বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ফরাসি সংস্করণ প্রকাশ করেছে। এর ফরাসি অনুবাদ করেছেন প্রফেসর ফ্রান্স ভট্টাচারিয়া।

বাংলাদেশ থেকে বইটির ফরাসি সংস্করণ প্রকাশনার সব কাজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়েছে।

বিশ্বের অন্যতম প্রধান ভাষা ফরাসিতে প্রকাশিত হওয়ার এখন বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী সম্পর্কে জানতে পারবেন  বিশ্বের ফরাসি ভাষাভাষী বিশাল পাঠক সমাজ।

বইটির ফরাসি সংস্করণের পাদটীকা লিখেছেন ইনালকোতে বাংলা ভাষা ও সভ্যতার শিক্ষক জেরেমি কদ্রণ। এর প্রকাশনা ও ভাষাগত পরিশুদ্ধতাসহ অন্যান্য বিষয় নিশ্চিত করতে বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক ফরাসি রাষ্ট্রদূত সার্জ দেগালে, ইনালকোর বাংলা বিভাগের প্রধান ড. ফিলিপ বেনোয়া ও বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ফিলিপ রাত সম্মিলিতভাবে কাজ করেছেন।

অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ফরাসি সংস্করণের উপক্রমনিকা হিসেবে ফ্রান্সের ভূতপূর্ব পররাষ্ট্রমন্ত্রী হুবার্ট ভেদ্রিন লিখেছেন, ‘ভাগ্য ফ্রান্স ও বাংলাদেশকে ইতিহাসের বিভিন্ন পর্যায়ে একে অপরের কাছাকাছি নিয়ে এসেছে, ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বিপক্ষে ফরাসিরা বাঙালির সাথে ছিল। একজন ফরাসি সেনা অফিসার গোলন্দাজ বাহিনীর নেতৃত্বে ছিলেন। যুদ্ধে পরাজয়ে বাংলা হারায় স্বাধীনতা। প্রায় ২১৪ বছর পর শেখ মুজিবুর রহমানের হাত দিয়ে বাংলা তার স্বাধীনতা ফিরে পায়।’

হুবার্ট ভেদ্রিন ১৯৮৯ সালে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরার বাংলাদেশ সফরকালে প্রেসিডেন্টের সফরসঙ্গী ছিলেন।

অসমাপ্ত আত্মজীবনীর ফরাসি সংস্করণের প্রকাশক মি. রেনালদ মন গ্রন্থটি নিয়ে আশাবাদী।  তিনি জানান, সাহিত্যিক মান ও ঐতিহাসিক মূল্য বিবেচনায় অসমাপ্ত আত্মজীবনী ফ্রান্সের সাধারণ পাঠক এবং ইতিহাসবিদ ও গবেষকদের কাছে সমাদৃত হবে।

বইটির প্রচার বৃদ্ধিতে এটি প্যারিস বইমেলা ছাড়াও আসছে জুনের প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিতব্য ‘এমেজিং ট্রাভেলার’ ও অক্টোবরে ‘দি মিটিং অব হিস্ট্রি’ বইমেলাতেও রাখা হবে। এছাড়া সাধারণ পাঠকদের হাতে পৌঁছে দিতে বইটি চারটি বুক স্টলে রাখা হবে বলেও তিনি জানান।

১৯৬৭ থেকে ১৯৬৯ সাল পর্যন্ত কারাগারে বন্দী অবস্থায় এই অমূল্য লেখা লেখেন বঙ্গবন্ধু। ওই স্মৃতিকথা ২০১২ সালের ১৮ জুন বাংলায় অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও ইংরেজি অনুবাদে ‘আন ফিনিসড মেমোরিজ’ শিরোনামে প্রকাশিত হয়।

এছাড়াও ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী বইটি জাপানি, ইংরেজি, চীনা ও আরবি ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে।

এসআর/জেআইএম

আরও পড়ুন