ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে ইসি

প্রকাশিত: ০৬:০১ এএম, ১৯ এপ্রিল ২০১৫

আসন্ন তিন সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। রোববার সকাল সোয়া ১১টায় বৈঠক শুরু হয়। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব মো. সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রধান অতিথি রয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।

এছাড়া বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার, কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশ প্রধান, বিজিবি প্রধান, র্যাব প্রধান, আনসার-ভিডিপি, কোস্টগার্ড, গোয়েন্দা সংস্থাসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন।

বৈঠকে সিদ্ধান্ত হবে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ এবং চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে সেনাবাহিনী নিয়োগ করা হবে কি না।

ইসির কর্মকর্তারা জানান, যেকোনো নির্বাচনের আগে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে ভোটগ্রহণ উপযোগী পরিবেশ বিরাজ করছে কি না, ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রের নিরাপত্তা, সেনাবাহিনী মোতায়েনের যৌক্তিকতা এবং ভোটারদের নিরাপত্তাসহ সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়।

বৈঠক উপলক্ষে একটি কার্যপত্র প্রস্তুত করেছে নির্বাচন ব্যবস্থাপনা ও সমন্বয় শাখা। কার্যপত্রে দেখা গেছে, ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠেয় ভোটগ্রহণ উপলক্ষে চারস্তরের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে প্রায় ৬৫ হাজার বিভিন্ন বাহিনীর সদস্য।

কার্যপত্রে দেখা গেছে, নির্বাচনে সাধারণ ভোটকেন্দ্রে ২২ জন ও ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে ২৪ জন করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। এ বিবেচনায় দুই হাজার ৭শ’ ভোটকেন্দ্রে প্রায় ৬২ হাজার নিরাপত্তা রক্ষী নিয়োগ করতে হবে ইসিকে। এছাড়া তিন সিটির প্রতি সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডে পুলিশ, আনসার ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে একটি করে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স থাকবে। সেই সঙ্গে ভোটকেন্দ্র বিবেচনায় ২২ প্লাটুন বিজিবি, ৭ প্লাটুন কোস্ট গার্ড ও র্যাবের ৬৮টি টিম কাজ করবে।

সংশ্লিষ্টরা ২৬ এপ্রিল থেকে ২৯ এপ্রিল চারদিনের জন্য নির্বাচনী মাঠে থাকবেন। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে ভোটকেন্দ্রের বাইরে র্যাব-পুলিশের টিম নিয়োগ করা হবে। ভোটের দিন প্রতিটি মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে অন্তত ২৮৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবে। ভোটের আগে-পরে চার দিন উত্তরে ৯ জন, দক্ষিণে ১৪ জন ও চট্টগ্রামে ১০ জন বিচারিক হাকিমও নিয়োগ দেবে কমিশন।

এএইচ/বিএ/পিআর