ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

হজে যাচ্ছেন লতিফ সিদ্দিকী

প্রকাশিত: ০৪:০১ এএম, ২২ মার্চ ২০১৭

হজ নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্যের জেরে মন্ত্রীত্ব হারিয়েছেন তিনি। শুধু মন্ত্রীত্ব নয়, দল থেকেও পদ হারিয়েছেন তিনি। তবে ওই বিতর্কের আড়াই বছর পার না হতেই হজে যেতে মনস্থির করেছেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের এক সময়ের প্রভাবশালী নেতা আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।

চলতি বছরেই হজে যাচ্ছেন টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা লতিফ সিদ্দিকী। ইতোমধ্যে হজের জন্য প্রাক নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন তিনি।

২০১৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের একটি হোটেলে নিউইয়র্কের টাঙ্গাইল সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে পবিত্র হজ প্রসঙ্গে লতিফ সিদ্দিকী বলেছিলেন, ‘আমি কিন্তু হজ আর তাবলীগ জামাতের ঘোরতর বিরোধী। আমি জামায়াতে ইসলামীরও বিরোধী। তবে তার চেয়েও হজ ও তাবলীগ জামাতের বেশি বিরোধী। এই হজে যে কত ম্যানপাওয়ার (জনশক্তি) নষ্ট হয়। হজের জন্য ২০ লাখ লোক আজ সৌদি আরবে গিয়েছে। এদের কোনো কাম নাই। এদের কোনো প্রডাকশন নাই। শুধু রিডাকশন দিচ্ছে। শুধু খাচ্ছে আর দেশের টাকা দিয়ে আসছে।’

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘অ্যাভারেজে যদি বাংলাদেশ থেকে এক লাখ লোক হজে যায়, প্রত্যেকের পাঁচ লাখ টাকা করে ৫০০ কোটি টাকা খরচ হয়।’

তার ওই বক্তব্যের পর ব্যাপক বিতর্ক ও অসন্তোষ দেখা দেয় দেশজুড়ে। সরকারি দল আওয়ামী লীগের ভেতরেও এ নিয়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সে সময় আবদুল লতিফ সিদ্দিকীর বক্তব্য ধর্মীয় অনুভূতিতে ‘আঘাতের শামিল’ দাবি করে ঢাকাসহ দেশের ১৮টি জেলায় তার বিরুদ্ধে ২২টি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলায় তাকে আদালতে তলব করা হয়। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হাজির না হওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।

কিন্তু আবদুল লতিফ সিদ্দিকী তার বক্তব্যে অনড় থাকেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমি একজন দায়িত্বশীল লোক। আমি যা বলব, তার দায়িত্ব নেব না, কে বলল? কোনো কিছুতেই আমি বক্তব্য প্রত্যাহার করব না।’

তবে আগের সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন লতিফ সিদ্দিকী। এবার হজে যাওয়ার খবর থেকেই তার প্রমাণ মিলছে। শুধু তাই নয়, প্রবীণ এ রাজনীতিক এখন নিয়মিত নামাজ আদায় করেন বলে জানা গেছে। নিয়মিত পবিত্র কোরআন-হাদিস পড়েন।

এছাড়া ধর্মচর্চাতেও বেশ মনোনিবেশ করেছেন তিনি। এর প্রমাণও মিলেছে তার ফেসবুক পেজে। ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করে দেশ-বিদেশে কোণঠাসা হয়ে পড়া লতিফ সিদ্দিকী গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর নিজের ফেসবুক ওয়ালে লেখেন, ‘বিশ্বের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ও শান্তির ধর্ম ইসলামের প্রতিষ্ঠাতা হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও মৃত্যু (ওফাত) দিবস আজ মঙ্গলবার। আমি তাঁর প্রতি হৃদয় উৎসারিত আন্তরিক শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা নিবেদন করছি। একই সঙ্গে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভের প্রত্যাশায় তাঁর দোয়া কামনা করছি।’

এএসএস/এসআর/আরআইপি

আরও পড়ুন