শিখা চিরন্তন সাজছে নতুন রূপে
২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবসকে সামনে রেখে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিখা চিরন্তনের চৌহদ্দি সাজছে নতুন রূপে। গণপূর্ত অধিদফতরের একাধিক কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে মঙ্গলবার সকাল থেকে অর্ধ শতাধিক পুরুষ ও নারী দিনমজুর শিখা চিরন্তন এলাকায় সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করছেন।
দিনমজুররা একাধিক গ্রুপে বিভক্ত হয়ে কেউ ঝাড়ু দিচ্ছেন, ঘাস কাটছেন ও জঙ্গল পরিষ্কার করছেন। আর কেউ পাইপ দিয়ে পানি ছিটাচ্ছেন ও ফ্লোর ঘষে-মেঝে পরিষ্কার করছেন আবার কেউবা ফুলের গাছ লাগাচ্ছেন। মঙ্গলবার সরেজমিনে এসব দৃশ্য দেখা গেছে।
আতাউর রহমান নামে গণপূর্ত অধিদফতরের (সেকশন অফিসার) কর্মকর্তা পরিচয়ে এক ব্যক্তি এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, এ উদ্যানের সার্বিক সৌন্দর্যবর্ধনের কাজটি তিনি দেখভাল করেন। তবে এই মুহূর্তে ২৬ মার্চকে সামনে রেখে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে ব্যস্ত রয়েছেন।
তিনি জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আগতদের অধিকাংশই ময়লা-আবর্জনা নির্দিষ্ট স্থানে ফেলেন না। ফলে এ উদ্যানটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা অনেক সময় সম্ভব হয়ে উঠে না। তবুও তারা উদ্যানটি সুন্দর রাখতে সব সময় কাজ করে থাকেন।
তবে এ পার্কে নিয়মিত যারা আসেন তারা বলছেন ভিন্ন কথা। তারা বলেন, ‘সারা বছর কোনো খোঁজ নেই, শুধু বিশেষ দিবস এলেই সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে অধিক তৎপর হতে দেখা যায়।’
ঐহিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যান ময়দানে শিশুপার্ক সংলগ্ন (বর্তমানে যেখানে শিখা চিরন্তন মশাল জ্বলছে) স্থানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ স্বাধীনতার ডাক দিয়েছিলেন।
৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি বলেছিলেন, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। বঙ্গবন্ধুর ওই ভাষণে উজ্জীবিত ও উদ্বিপ্ত হয়েছিল গোটা বাঙালি জাতি। পরবর্তীতে ২৫ মার্চ কালো রাত্রিতে পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। শুরু হয় স্বাধীনতার সংগ্রাম। ৯ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধ শেষে স্বাধীন হয় বাংলাদেশ।
এমইউ/জেডএ/এআরএস/জেআইএম