ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সিটি মেয়রকে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার হতে হবে

প্রকাশিত: ০৩:৫৬ পিএম, ১৬ এপ্রিল ২০১৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেছেন, যিনি ঢাকার মেয়র হবেন তাকে অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা লালন করতে হবে। সেদিক থেকে সাঈদ খোকন একজন যোগ্য প্রার্থী, জন্মের পর থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে তিনি কাজ করছেন।

বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) টিএসসি অডিটরিয়ামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার আয়োজিত ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর-দক্ষিণ) নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি মনোনীত মেয়র প্রার্থীদের সমর্থনে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে অনেকেই প্রার্থী হতে পারেন, তবে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কারা ধারণ করেন এটা আমাদের দেখার বিষয়। দেশের যে কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিনিধিত্বকারী প্রতিষ্ঠানের পদ-পদবী যিনি ধারণ করবেন তার সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের একমাত্র চাওয়া হচ্ছে যে, তিনি অবশ্যই মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে লালন করে এটাকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।’

তিনি বলেন, দেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির সাথে একটা বিভাজন সৃষ্টি করার অপকৌশল চলছে। গণতন্ত্রে নানা পথ, মত, আদর্শ, দর্শন থাকবে। কিন্তু ৩০ লাখ শহীদের রক্তে অর্জিত স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিভাজন সৃষ্টি করা যাবে না। এটা সুস্পষ্টভাবে রাষ্ট্রদ্রোহিতা ও দেশের ৩০ লাখ শহীদের রক্তের সাথে বেইমানির শামিল। সাঈদ খোকন মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি। জন্মের পর থেকে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সাথে সম্পৃক্ত হয়ে কাজ করেছেন। তার কথায়, আচার আচরণে বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সুস্পষ্ট।

আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, তিন মাস পেট্রলবোমা মেরে, শতশত মানুষ হত্যা করে, শতশত পরিবারকে নিঃস্ব করে বেগম খালেদা জিয়া প্রার্থী দাঁড় করিয়েছেন। তিনি কাণ্ডজ্ঞান শূন্য হয়ে পড়েছেন।

‘সিটি নির্বাচনে নিরব বিপ্লব ঘটবে’ বেগম খালেদা জিয়ার এই বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, নিরব বিপ্লব আবার কি, এর পিছনে কোন ষড়যন্ত্র চক্রান্ত আছে না-কি?

ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় আরো বক্তৃতা করেন- ঢাবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাসরিন আহমেদ, ঢাবি শিক্ষকদের নীল দলের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাজমা শাহীন, সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. আজিজুর রহমান, সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. বজলুল হক খন্দকার, আওয়ামী লীগের কৃষি সম্পাদক ড. আব্দুর রাজ্জাক, ঢাবি অফিসার্স ইউনিয়নের সভাপতি সৈয়দ আলী আকবর, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারি সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম, কারিগরি কর্মচারি সমিতির সভাপতি মোজাম্মেল হক ও চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারি ইউনিয়নের সভাপতি মো. শাজাহান।

আরএস