ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

জঙ্গি দমনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে এনজিও

প্রকাশিত: ০২:২৯ পিএম, ১৯ মার্চ ২০১৭

উন্নয়ন কর্মকাণ্ড এগিয়ে নেয়ার পাশাপাশি বাংলাদেশে নতুন করে যে জঙ্গিবাদ রূপ নিয়েছে তা দমনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা বা এনজিওগুলো। এক্ষেত্রে সরকার এনজিওকে পাশাপাশি রেখে একসঙ্গে কাজ করতে পারে। এছাড়া দারিদ্র্য বিমোচন ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকার-এনজিওর ‘স্বস্তিকর সহঅবস্থান’ জরুরি।

রোববার রাজধানীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘ব্র্যাক ডে’ উপলক্ষে আয়োজিত ‘এনজিও এবং উন্নয়ন’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক আয়োজিত এ অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান।

ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ডা. মুহাম্মাদ মুসার সভাপতিত্বে ও সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, সাবেক উপদেষ্টা ও গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী আবুল কালাম আজাদ, যুক্তরাজ্যের আলস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এসআর ওসমানি প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে রেহমান সোবহান টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের সঙ্গে বেসরকারি সংস্থাগুলোর একসঙ্গে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেন, ইচ্ছা করলে প্রধানমন্ত্রী এসডিজির বাস্তবায়নের নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে বেসরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারে।

তিনি বলেন, দারিদ্র্য বিমোচনে বেসরকারি সংস্থাগুলোর ‘ক্ষুদ্রঋণ’ কর্মসূচি ‘বিস্ময়কর’ ভূমিকা পালন করছে। এক্ষেত্রে বিশ্বের বড় এনজিও হিসেবে ব্র্যাক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তবে ক্ষুদ্রঋণের বাইরে ব্র্যাকের সামাজিক ব্যবসা উদ্যোগগুলোকে আরও ফলপ্রসূ করতে ভারতের কোনো কোনো প্রদেশের আঙ্গিকে উৎপাদনকারীদের লভ্যাংশ দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ এক গবেষকের উদ্ধৃতি উদাহরণ তুলে ধরে বলেন, গবেষকের মতে, এনজিওগুলোর সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক এখনও ‘অস্বস্তিকর সহ-অবস্থানের’ মতো। তবে আমি মনে করি এটাকে ‘স্বস্তিকর সহঅবস্থানে’ নিয়ে যাওয়া উচিত। কারণ, শুধু দারিদ্র্য বিমোচনে নয়, বরং, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জন্মনিয়ন্ত্রণ, মেয়েদের কর্মক্ষেত্রে অংশগ্রহণ বাড়ানোর ক্ষেত্রে এনজিওগুলো বড় ভূমিকা পালন করছে। কারণ, প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এনজিগুলো গরিব মানুষের জন্য কাজ করছে। অনেক গরিব মানুষ সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সহজে সেবা না পেয়ে বেসরকারি সংস্থার সহায়তা নিয়েছে।

তিনি বলেন, যেহেতু সবক্ষেত্রে এনজিও বড় ভূমিকা পালন করতে পেরেছে, বাংলাদেশে নতুন করে যে ধর্মীয় জঙ্গিবাদ রূপ নিয়েছে তা মোকাবেলায়ও এনজিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। বিশেষত ‘অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও ধর্মীয় বাণী’ প্রচারে সরকার এনজিওকে পাশাপাশি রেখে একসঙ্গে কাজ করতে পারে।

রাশেদা কে. চৌধুরী প্রান্তিক মানুষকে ঋণের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করতে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে সুদের হার কমিয়ে আনা ও ‘ঋণের টাকা তোলার খরচের নামে’ বাড়তি টাকা কমানোর জন্য বেসরকারি সংস্তাগুলোর শীর্ষ প্রতিনিধিদের কাছে জোরালো আহ্বান জানান।

মূল উপস্থাপনায় ব্র্যাকের গবেষণা ও মূল্যায়ন বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল বায়েস বলেন, সরকার ও দাতা সংস্থার তথ্যানুযায়ী, ২০০২ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে বাংলাদেশে মোট এক কোটি ১০ লাখ খানা দারিদ্র্য থেকে মুক্ত হয়েছে। এর প্রায় ১৫ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ১৮ লাখ পরিবার বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাকের সহায়তায় অতিদারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে।

এমএ/বিএ/পিআর