আত্মঘাতীর কাঁধে পাওয়া কালো ব্যাগ পরীক্ষা করছে পুলিশ
রাজধানীর আশকোনায় হজ ক্যাম্প সংলগ্ন র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত যুবকের কাছ থেকে একটি কালো ব্যাগ উদ্ধার করেছে র্যাব। নিহত যুবকের কাঁধে ওই কালো ব্যাগটি ছিল।
ব্যাগের ভিতর কিছু জিনিস পাওয়া গেছে। পুলিশ তা খতিয়ে দেখছে। নিহতের পরনে ছিল সাদা চেক শার্ট ও কালো প্যান্ট। হামলাকারীর মাথায় ক্যাপ পরা ছিল। বোমা নিষ্ক্রিয়কারী দল ব্যাগটি পরীক্ষা করে দেখছে।
এ ছাড়া মরদেহের পাশে একটি বোমা পাওয়া গেছে। বোমাটি নিষ্ক্রিয় করার কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বোমা নিষ্ক্রিয় করার সময় বিস্ফোরণের শব্দে যাতে কেউ ভয় না পান এ জন্য এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান এ তথ্য জানিয়েছেন। আইজিপি ও র্যাবের ডিজি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিহত যুবকের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে। পুলিশের ক্রাইম সিন ইউনিট মরদেহ ও আশেপাশের এলাকা ঘিরে রেখেছে। র্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, হামলাকারী কোন জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য তা এখনও জানা যায়নি। তবে সে যে জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য তা সন্দেহ করা হচ্ছে।
হামলার পর গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জাগো নিউজকে জানান, দুই র্যাব সদস্য আত্মঘাতী হামলাকারী জঙ্গিকে চ্যালেঞ্জ করার পর জঙ্গি পেছনে ঘুরে সুইসাইডাল ভেস্টের বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় চ্যালেঞ্জ করা র্যাবের দুই সদস্য ৪ থেকে ৫ ফুট দূরে ছিলেন। তারা জানান, জঙ্গির ছিন্নভিন্ন লাশের পাশেই একটি কালো ট্রাভেল ব্যাগ পড়ে থাকতে দেখা যায়। তবে এই কালো ব্যাগে কী আছে তা এখনই জানা সম্ভব হচ্ছে না।
শুক্রবার বেলা ১টার দিকে রাজধানীর আশকোনায় হজ ক্যাম্পের ভেতরে অবস্থিত র্যাবের নির্মাণাধীন সদর দফতরে আত্মঘাতী বোমার এ বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আত্মঘাতী হামলাকারী নিহত হয়েছেন। র্যাব-১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সরোয়ার বিন কাশেম বলেছেন, ‘জুমার নামাজের আগে ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী ওই যুবক ক্যাম্পের সামনে বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়।’
র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেছেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, আশকোনায় র্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্পে হামলাটি কোনো জঙ্গিগোষ্ঠীই চালিয়েছে। তবে কারা এ হামলা চালিয়েছে এখনই তা বলা যাচ্ছে না।
এআর/ওআর/পিআর