ব্যবহারকারী শনাক্তে ফেসবুকের সহায়তা চায় পুলিশ
বাংলাদেশের ৮২ ভাগ জঙ্গি ফেসবুক-টুইটারের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জঙ্গিবাদে উদ্বুদ্ধ হয় বলে পুলিশের এক জরিপে উঠে এসেছে। সাইবার অপরাধের অন্যতম মাধ্যমও ফেসবুক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অপরাধের এই প্রবণতা বন্ধে ফেসবুকের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ।
সোমবার রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে ফেসবুক প্রতিনিধির সঙ্গে আয়োজিত এক বৈঠকে সহায়তার বিষয়টি উঠে আসে। এ সময় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়। বৈঠকে ফেসবুকের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন সেফটি ম্যানেজার বিক্রম লেংগেহ।
বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ সদর দফতরের এক কর্মকর্তা বলেন, ফেসবুকের অ্যাকাউন্টধারীকে যেন শনাক্ত করা যায় এজন্য অ্যাকাউন্টধারীর পাসপোর্ট, জাতীয় পরিচয়পত্র বা ওই ব্যক্তিকে পরে শনাক্ত করা যায়- এমন কোনো পরিচয়পত্র প্রদর্শন বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
এছাড়া নারী নির্যাতন ও ধর্মীয় বিষয়ে কোনো প্রচারণা যেন ফেসবুক পুলিশের নজরে আনে, সেজন্য বলা হয়েছে। ফেসবুকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগের জন্য পুলিশ সদর দফতরে একজন কর্মকর্তাকে মুখপাত্র হিসেবে রাখা হবে। যিনি ফেসবুকের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করবেন।
ওই কর্মকর্তা জানান, বিক্রম লেংগেহ ফেসবুকের পরিচালনা বোর্ডের সঙ্গে কথা বলে বাংলাদেশ পুলিশকে নিজেদের অবস্থান জানাবেন।
তিন দিনব্যাপী চিফস অব পুলিশ কনফারেন্স শুরু হয় রোববার। এতে আফগানিস্তান, অস্ট্রেলিয়া, ভুটান, ব্রুনাই,চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, মালয়েশিয়া, মিয়ানমার, নেপাল, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলংকা, ভিয়েতনামের পুলিশ ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেছে।
এ ছাড়া রয়েছেন ইন্টারপোল, ফেসবুক, ইন্টারপোলগ্লোবাল কমপ্লেক্স ফর ইনোভেশন (আইজিসিআই), যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই), আসিয়ানাপোল, ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ট্রেনিং অ্যাসিস্ট্যান্স প্রোগামসহ (আইসিআইটিএপি) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এআর/বিএ