৪৫ বছর পর কেন আবার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা
বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ বলেছেন, ৪৫ বছর পর কেন আবার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে এই প্রশ্ন করেন তিনি।
শনিবার জাতীয় সংসদে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন করার জন্য আনা প্রস্তাবের উপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। আর প্রস্তাবটি উত্থাপন করেন শিরিন আখতার। পরে রাত প্রায় পৌনে ১০টা পর্যন্ত এই আলোচনা চলার পর প্রস্তাবটি কণ্ঠভোটে গৃহীত হয়।
সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা বলেন, ৪৫ বছর পরে কেন আবার মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা করা হচ্ছে, এটা আমার বোধগম্য নয়। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর কাছে আমার প্রশ্ন, মুক্তিযোদ্ধাদেরকে আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সন্তান ঘোষণা করেছি। মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাও করা হয়েছিল। তবে আবার কেন এটা করা হচ্ছে? মুক্তিযোদ্ধা কারা, নাম ঠিকানা নতুন করে কেন লেখা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণাটা কে দিয়েছেন? বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এটা নিয়ে কেন বার বার বিতর্ক হবে। তাকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছিল। এজন্য আমার জীবন ধন্য হয়েছে। আমি বলবো, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসটা সবাই মিলে লেখেন। আর স্বাধীনতার ঘোষক কে এটা কিন্তু ঠিক করতে হবে। পুরো জাতিকে এটা জানিয়ে দিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে।
রওশন এরশাদ বলেন, আমাদের দেশে এই গণহত্যা দিবসটির প্রস্তাব হয়তো অনেক আগেই আনতে পারতাম। শিরীন আখতার এনেছেন, এজন্য তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ২৫ মার্চ রাতে বাঙালিদেরকে মেধাশুন্য করার প্রস্তুতি ছিল পাকিস্তানের। এজন্য সেদিন ইউনিভার্সিটির টিচার, স্টুডেন্ট, বিডিআর, পুলিশের ওপর হামলা হয়েছিল। বাঙালিকে মেধা শুন্য করাই তাদের উদ্দেশে ছিল।
তিনি বলেন, গণহত্যা দিবসকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী যা যা করার করবেন এবং এ স্বীকৃতিও আমরা পাব আশা করি।
এইচএস/জেএইচ