রফতানি নয়, দেশের মানুষ আগে তৃপ্তি করে ইলিশ খাক
সাত বছরে দেশে ইলিশের উৎপাদন বেড়েছে ৯৬ লাখ মেট্রিক টন। ইলিশ সম্পদের উন্নয়নে নানামুখী সমন্বিত পদক্ষেপের ফলে ইলিশের উৎপাদন আশাতীত বৃদ্ধি পেয়েছে।
ইলিশ উৎপাদন সংক্রান্ত এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০০৮-০৯ অর্থবছরে যেখানে ইলিশের উৎপাদন ছিল ২.৯৯ লাখ মেট্রিক টন, সেখানে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে তা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩.৯৫ লাখ মেট্রিক টন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মোহাম্মদ ছায়েদুল হক শনিবার সকালে মৎস্য ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, দেশে মোট মৎস্য উৎপাদনের প্রায় ১১ শতাংশ ইলিশ। জিডিপিতে ইলিশের অবদান প্রায় ১ শতাংশ। উপকূলীয় মৎস্যজীবী সম্প্রদায়ের প্রায় ৫ লাখ লোক ইলিশ আহরণে সরাসরি নিয়োজিত। এছাড়া ২০-২৫ লাখ লোক পরিবহন, বিক্রয়, জাল ও নৌকা তৈরি, বরফ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, রফতানি ইত্যাদি কাজের সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আপাতত ইলিশ রফতানির কোনো চিন্তা আমাদের নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও মন্ত্রিপরিষদে বৈঠকে আমাকে বলেছিলেন ইলিশ রফতানি করতে। কিন্তু আমি বঙ্গবন্ধু কন্যাকে বলেছি দেশের মানুষ আগে তৃপ্তিসহকারে ইলিশ খাক। পরে উৎপাদন আরো বৃদ্ধি হলে রফতানির কথা ভাবা যাবে।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে চতুর্থ স্থানে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের দিয়েছেন সবুজ বাংলা। আর তার কন্যা শেখ হাসিনা আমাদের দিয়েছেন নীল বাংলা। বঙ্গোপসাগরের বিশাল নীল জলরাশি আমাদের আরেকটি মৎস্য ভাণ্ডার। এই মৎস্য ভাণ্ডার যুগ যুগ ধরে থাকবে।
এফএইচএস/এনএফ/জেআইএম