ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

পাটের সোনালী দিন ফিরে এসেছে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৭:৫১ এএম, ০৯ মার্চ ২০১৭

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা পাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে এনেছি। ফিরে এসেছে সোনালী আঁশের সেই সোনালী দিন। পাটের ন্যায্যমূল্যের দাবিতে একদিন আমরা আন্দোলন করেছি। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর কৃষক পাটের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে। পাট এখন আমাদের সম্পদ।’

তিনি বলেন, ‘যে পাটের সঙ্গে আমার দেশের কৃষক ও শ্রমিকের ভাগ্য জড়িত সে পাটের উৎপাদন কিভাবে বাড়ানো যায় এবং পাট দিয়ে আরো বহুমুখী পণ্য কিভাবে উৎপাদন করা যায় সেটা নিয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’

রাজধানীর খামারবাড়ির কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার সকালে পাট দিবস নিয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

পাটমন্ত্রী ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু ও প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম বক্তব্য রাখেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই পাট নিয়ে স্বাধীনতার আগ থেকেই অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। এদেশে স্থাপিত পাটকলগুলোর অধিকাংশ মালিক ছিল পাকিস্তানী। দেশ থেকে যাওয়ার সময় তারা অধিকাংশ পাটকল ধ্বংসের মুখে দাঁড় করিয়ে দিয়ে যায়। মা যেমন সন্তানকে বুকে আগলে রাখেন স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সেভাবে এদেশের পাটকলগলো রক্ষা করেছিলেন। কিন্তু ৭৫ এর পর আবার যারা ক্ষমতায় এসেছে তারা সবাই পাটকলকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্র করেছে। নামমাত্র মূল্যে পাটকলগুলো বিক্রি করে নিজেরা অনেক টাকার মালিক হয়েছে। এতে ভাগ্য পুড়েছে কৃষক-শ্রমিকের।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বব্যাংকের পরামর্শে পাটকলগুলো বন্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করে। ৯৩ সালে এসে তারা গোল্ডেন হ্যান্ডসেকের মাধ্যমে অনেক পাটকল বন্ধ করে দেয়। বিশ্বব্যাংক যখন বাংলাদেশের পাটকল বন্ধ করার জন্য বিএনপি সরকারকে পরামর্শ দিচ্ছে ঠিক একই সময় তারা (বিশ্বব্যাংক) ভারতকে পরামর্শ দেয় নতুন নতুন পাটকল স্থাপনের জন্য। বিশ্বব্যাংক তখন পাটকল স্থাপনের জন্য তাদের (ভারত) টাকাও দেয়।’

‘তখন আড়াই লাখ বেল পাট রপ্তানির চাহিদা ছিল। এই পরিমাণ পাট রপ্তানির চাহিদা থাকলে কী কেউ নিজের শিল্প বন্ধ করে অন্যকে রপ্তানির সুযোগ দিতে পারে’- প্রশ্ন রাখেন প্রধানমন্ত্রী। ‘কিন্তু বিএনপি তা করেছিল। আমাদের বলা হয় ভারতের দালাল। আসল দালাল কারা, তাদের (বিএনপি) কর্মের মাধ্যমে জনগণ তা বুঝতে সক্ষম হয়েছিল’- যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।

এফএইচএস/এমএআর/আরআইপি

আরও পড়ুন