ভিডিও EN
  1. Home/
  2. জাতীয়

সার উৎপাদন বাড়াতে প্রয়োজন নিরবিচ্ছিন্ন গ্যাস

প্রকাশিত: ০২:১৭ পিএম, ০৭ মার্চ ২০১৭

দেশের সার কারখানাগুলোতে প্রায় ৭ থেকে ৮ মাস গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় বাৎসরিক উৎপাদন কম হচ্ছে। কারখানাগুলোতে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে টেবিলে উত্থাপিত নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সরকার দলীয় এমপি নজরুল ইসলাম বাবুর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিকেল ৫ টা ৫মিনিটে সংসদ অধিবেশন শুরু হয়।

মন্ত্রী বলেন, দিন দিন দেশীয় সার কারখানাগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা কমে যাচ্ছে এবং আমদানি নির্ভরতা বাড়ছে, বিষয়টি সত্য নয়। বিসিআইসির অধিকাংশ সার কারখানাগুলো ২০ থেকে ২৫ বছরের পুরাতন। কারখানাগুলোর আয়ুষ্কাল শেষ হয়ে যাওয়ায় এবং সরকারি সিদ্ধান্তের বছরে প্রায় ৭/৮ মাস গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় বাৎসরিক উৎপাদন কম হচ্ছে। তাই সার কারখানাগুলোতে উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের প্রয়োজন। আমদানি নির্ভরশীলতা কমানোর লক্ষ্যে প্রতিদিন ২৮০০ মে. টন সার উপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন আরও একটি নতুন ইউরিয়ার সার কারখানা স্থাপনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

ফেনী-২ আসনের এমপি নিজাম উদ্দিন হাজারীর এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউট (বিএসটিআই) মোট ১১৫টি মোবাইল কোর্ট বা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছে। এ সময় ১৫৬টি সার্ভিসল্যান্স টিম পরিচালনা করে নিম্নমানের ও ভেজাল পণ্য উৎপাদন/বিক্রয়ের অভিযোগে ৭০টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা করে ৮৭ লাখ ৪২ হাজার টাকা আদায় হয়েছে।

আমির হোসেন বলেন,  ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৪ জনকে বিভিন্ন  মেয়াদে কারাদণ্ড প্রদানসহ ২টি কারখানা সিলগালা এবং ১০ লাখ ৭ হাজার টাকা মূল্যের ফ্রুট সিরাপসহ বিপুল পরিমাণ ভেজাল ও নিম্নমানের খাদ্যপণ্য ধ্বংস করা হয়েছে। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকার দেশের সর্বস্তরের জনসাধারণের জন্য নিরাপদ ও ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর। বিএসটিআইয়ের এ অভিযান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

মহিলা সংরক্ষিত আসনের এমপি জাহান আরা বেগম সুরমার এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশনের (বিসিক) মাধ্যমে দেশে ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের বিকাশে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। যার মধ্যে উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করার লক্ষ্যে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, ঋণ ব্যবস্থাকরণ এবং অবকাঠামোগত সহায়তা প্রদান অন্যতম। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৮টি শিল্পনগরী, ৩টি শিল্পপার্ক ও ৬টি অন্যান্য প্রকল্প স্থাপনের কাজ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এছাড়া আরও ৯টি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় এবং ১১টি প্রকল্প পরিকল্পনাধীন।

মাদারীপুর-৩ আ ফ ম বাহাউদ্দিনের (নাছিম) এক প্রশ্নের জবাবে শিল্পমন্ত্রী বলেন, ওষুধ শিল্পের উন্নয়নের জন্য স্বতন্ত্র একটি টি অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যাল ইনগ্রেডিয়েন্ট (এপিআই) পার্ক স্থাপনের কাজ বাস্তবায়নাধীন। এটি মুন্সীগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলায় বাউসিয়া মৌজায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দক্ষিণ পাশের ২০০ একর জায়গায় অবস্থিত। এতে মোট ৪২টি শিল্প প্লটে ৪২টি ইউনিট স্থাপিত হবে। এ প্রকল্পের মোট প্রাক্কালতি ব্যয় ৩৩১৮৫.৭৫ লাখ টাকা।

এইচএস/জেএইচ/জেআইএম

আরও পড়ুন