এটা কি সাংবাদিকতা : খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী এডভোকেট কামরুল ইসলাম সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছেন, বিএনপি আন্দোলনের নামে অডিও, ভিডিও বার্তা পাঠাবে, মোবাইলে বোমা ফাটানোর সংবাদ দিবেন আর সাংবাদিক ভাইয়েরা সেটা প্রচার করবেন, এটা কি সাংবাদিকতা?
এসময় তিনি বিএনপিকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণের আহবান জানিয়েছেন।
কামরুল ইসলাম শুক্রবার বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বংশাল থানা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক সমাবেশে একথা বলেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ২০১৯ সালের আগে নির্বাচন হওয়ার কোনো সুযোগ নেই, সংবিধানসম্মত পন্থায় প্রধানমন্ত্রীর অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আপনারা সে নির্বাচনে অংশ গ্রহণের সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিন।
মহানগর আওয়ামী লীগনেতা জসিম উদ্দিন সবুজের সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এম এ আজিজ, সাংগঠনিক সম্পাদক সাঈদ খোকন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
কামরুল ইসলাম বলেন, ২০১৯ সালে বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অধীনে নির্বাচনকালীন সরকারের মাধ্যমে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বিএনপিকে সে নির্বাচনে আসতে হবে। এছাড়া বিকল্প কোন সুযোগ তাদের সামনে থাকবে না।
১৫ আগস্ট বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মিথ্যা জন্মদিন পালনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জাতির শোকের দিনে বেগম খালেদা জিয়া যেভাবে আনন্দ উল্লাস করে বিশাল ওজনের কেক কাটেন, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে হত্যা করা সম্ভব হলে তারেক রহমানও একইভাবে আনন্দ উল্লাস করতে।
আন্দোলনের নামে অজ্ঞাত স্থান থেকে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বিএনপি যেন নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্যই সরকার জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা করতে যাচ্ছে বলে জানান খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।
বিএনপি যেন দেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানাতে না পারে সেজন্য দলের নেতাকর্মীদের সজাগ থাকারও আহ্বান জানান আওয়ামী লীগের এ নেতা।কামরুল বলেন, কর্তব্যবোধের প্রতি অনুগত থেকে গণমাধ্যম যেন দায়িত্ব পালন করতে পারে সে জন্য সকলের মতামত নিয়েই সম্প্রচার নীতিমালা আইন করা হবে।
খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, একটি অপশক্তি দেশকে ধ্বংস করা চেষ্টা করছে। তাদের বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে সোচ্চার হতে হবে।
কামরুল ইসলাম বলেন, ১৫ আগস্টের হত্যার পর জাতীয় চারনেতা হত্যার মধ্য দিয়ে জিয়ার আসল রূপ বেরিয়ে এসেছে। জিয়াই পৃথিবীতে সবচেয়ে বেশি রক্ত ঝড়িয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন। আর জিয়ার অসমাপ্ত কাজ শেষ করার জন্য খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ২১ আগস্টে গ্রেনেন্ড হামলা করে। তারা সারাদেশে জঙ্গিবাদ সৃষ্টি করে। জামায়াত-বিএনপি ও জঙ্গিবাদ একসুতায় গাঁথা।