‘তিস্তা চুক্তি এক দিন হবেই’
‘তিস্তা চুক্তি এক দিন হবেই’- এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরে তিস্তা চুক্তির কোনো অগ্রগতি হবে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে বরাবরের মতো এবারও মন্ত্রী বলেন, ‘ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং বাংলাদেশে এসে বলে গেছেন, তিস্তা চুক্তি হবে। দুজন প্রধানমন্ত্রী যখন কথা দিয়েছেন তখন তিস্তা চুক্তি এক দিন হবেই।’
তিস্তা চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকায় গঙ্গা ব্যারাজের ওপর বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে কিনা- এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দুটো বিষয়েই গুরুত্ব দিচ্ছি। সেভাবেই চেষ্টা করা হচ্ছে।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে রোববার ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন। ‘মন্ত্রণালয়ের যেখানে যে সমস্যা দেখা দিচ্ছে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে’- জানিয়ে মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ আরও বলেন, ‘আমি সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছি। ওপরের কোন স্থান বা স্থর থেকে কোন চাপ আসছে না।’
তিনি বলেন, ‘আমি একটা জিনিস চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি, ‘অলমোস্ট ৯৫ শতাংশের ওপরে চুরি আমরা বন্ধ করতে পেরেছি। নট অনলি দ্যাট, আমরা যে ব্লকগুলো ব্যবহার করতাম তার কোয়ালিটি ট্রিমিন্ডাস ইমপ্রুভ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘এখনো কিছুটা অস্বচ্ছতা আছে। এর প্রধান কারণ আমাদের যে জনশক্তি ছিল সেটা এক সময় অর্ধেক করে দেয়া হয়েছিল। আমি এখনো জানি না কেন সেটা অর্ধেক করে দেয়া হয়েছিল।’
‘পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সবকিছুতে স্বচ্ছতা আনা হচ্ছে’ জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ১২ জনের চাকরি খেয়েছি। এটা খুব একটা ইজি ছিল না। আনফরচুনেটলি নট এ সিঙ্গেল কেস ওয়েন্ট টু দ্য কোর্ট। একটা কেসও কিন্তু কোর্টে যায়নি। কেউ কোর্টে গিয়ে বলে নাই এমন ঘটনা ঘটেছে বা কোর্ট থেকে আমাদের কাছে কোন আদেশ আসেনি।’
‘যে খানেই অস্বচ্ছতা দেখছি, সেখানেই ধরা হচ্ছে এবং যত দূর পারি ব্যবস্থা নিচ্ছি। এ ব্যাপারে আমি বলতে পারি, আমার ওপর কোন পলেটিক্যাল পেসার আসেনি। কোনো জায়গা থেকে বা কোনো স্থর থেকে আমার ওপর কোন পলেটিক্যাল পেসার আসে না। আই অ্যাম এ্যাবসোলুটলি ফ্রি। যদি কোন ফেইলর (ব্যর্থতা) থাকে, তার জন্য আমি দায়ি’ বলেন আনিসুল ইসলাম।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশার সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানীর সঞ্চলনায় ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি আবু দারদা জোবায়ের, যুগ্ম সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জিলানী মিল্টন, আপ্যায়ন কামাল উদ্দিন সুমন, প্রশিক্ষণ ও গবেষণা সম্পাদক মাহমুদ রিয়াত প্রমুখ।
এমএএস/এমএআর/আরআইপি